
এস.বি-সুজন,লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব আবহমান বাংলার শ্বাশত সংস্কৃতির অংশ। লালমনিরহাটের সর্বত্রই বিরাজ করছে শারদীয় দূর্গাপূজার আনন্দ উৎসবের। এ বারে জেলায় ৪শত ৬৭টি পূজামন্ডপ রয়েছে। তারমধ্যে লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ১৬১, আদিতমারীতে ১১৪, কালীগঞ্জে ৯১, হাতীবান্ধায় ৭১, পাটগ্রামে ৩০টি পূজামন্ডবে দূর্গোৎসব ব্যাপক সাজসজ্জ্বার মধ্যেদিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি হীরা লাল রায় ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চন্দ্র রায় জানান, লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ১শত ৬১টি। তারমধ্যে লালমনিরহাট পৌরসভা এলাকায় ২৬টি, মোগলহাট ইউনিয়নে ২২টি, কুলাঘাট ইউনিয়নে ১০টি, বড়বাড়ী ইউনিয়নে ৯টি, হারাটি ইউনিয়নে ১৪টি, গোকুন্ডা ইউনিয়নে ২০টি, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে ২২টি, রাজপুর ইউনিয়নে ৮টি, খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে ১৪টি, মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নে ১৬টি।
আদিতমারী উপজেলায় ১শত ১৪টি। তারমধ্যে দূর্গাপূর ইউনিয়নে ১১টি, ভেলাবাড়ী ইউনিয়নে ১৩টি, কমলাবাড়ী ইউনিয়নে ১৫টি, সারপুকুর ইউনিয়নে ২২টি, সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নে ৬টি, ভাদাই ইউনিয়নে ৩২টি, পলাশী ইউনিয়নে ১১টি, মহিষখোচা ইউনিয়নে ৪টি।
কালীগঞ্জ উপজেলায় ৯১টি। তারমধ্যে ভোটমারী ইউনিয়নে ৫টি, মদাতী ইউনিয়নে ১৪টি, তুষভান্ডার ইউনিয়নে ১২টি, দলগ্রাম ইউনিয়নে ৯টি, কাকিনা ইউনিয়নে ৭টি, চলবলা ইউনিয়নে ১৭টি, গোড়ল ইউনিয়নে ১৫টি, চন্দ্রপুর ইউনিয়নে ১২টি।
হাতীবান্ধা উপজেলায় ৭১টি। তারমধ্যে বড়খাতা ইউনিয়নে ৩টি, ফকিরপাড়া ইউনিয়নে ৪টি, গড্ডিমারী ইউনিয়নে ১টি, সিংগিমারী ইউনিয়নে ২টি, টংভাঙ্গা ইউনিয়নে ১৭টি, সিন্দুর্না ইউনিয়নে ৫টি, পাটিকাপাড়া ইউনিয়নে ৩টি, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে ২টি, নওদাবাস ইউনিয়নে ১২টি, গোতামারী ইউনিয়নে ১০টি, ভেলাগুড়ি ইউনিয়নে ১২টি।
পাটগ্রাম উপজেলায় ৩০টি। তারমধ্যে পাটগ্রাম পৌরসভায় ৪টি, পাটগ্রাম ইউনিয়নে ২টি, শ্রীরামপুর ইউনিয়নে ২টি, বুড়িমারী ইউনিয়নে ১টি, জগতবেড় ইউনিয়নে ৬টি, জোংড়া ইউনিয়নে ৬টি, বাউড়া ইউনিয়নে ৮টি, দহগ্রাম ইউনিয়নে ১টিসহ পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হচ্ছে।
পাটগ্রাম উপজেলা শাখার সভাপতি শ্রী রনজিত কুমার সাহা ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী অজিত রঞ্জন রায় বলেন, রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দূর্গা পূজা শুরু হয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দশমী ও বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় পূজা সমাপ্ত হবে। পূজামন্ডপে সার্বিক নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা রক্ষা, বিদ্যুৎ ও আলো, স্বাস্থ্যসেবা, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা এবং পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছেন।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, লালমনিরহাট জেলার শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিততে এবার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অনুষ্ঠিত হছে। প্রতিটি মন্ডপের নিরাপত্তায় আনসার সদস্য, পুলিশ, র্যাব, সেনা বাহিনী, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত আছেন।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, ধর্ম যার যার হলেও উৎসব সবার। এবার এজেলায় তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয় আছে দুর্গা উৎসবে। এছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।