, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে বাউল আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অভিমানে পরোপারে পাড়ি জমালেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ইসমতআরা! পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব

পূজায় রাস্তা উপহার দিলেন ইউএনও

  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩৪ পড়া হয়েছে

মোঃসুলতান মাহমুদ,গাজীপুর প্রতিনিধি :

গাজীপুরের শ্রীপুরে আদিবাসীদের পুরাতন একটি লক্ষী মন্দিরে যাতায়াতের জন্য নতুন রাস্তা করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ।

আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরের দিকে সরেজমিনে গিয়ে পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ড লোহাগাছ খাসপাড়া শ্রীশ্রী লক্ষী মন্দিরে যাতায়াতের জন্য ওই রাস্তায় জনসাধারণের চলাচলের দৃশ্য দেখা যায়।

স্থানীয় ও আদিবাসী সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে খানাখন্দভরা মাটির রাস্তায় যাতায়াত করে পুরাতন লক্ষী মন্দিরে পূজা দিয়ে আসছেন শ্রীপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড লোহাগাছ খাসপাড়া এলাকায় বসবাসরত আদিবাসী হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক শ মানুষ। এছাড়াও ওই এলাকায় বিকল্প রাস্তা না থাকায় এ পথেই স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও কারখানার শ্রমিকরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছান। বৃষ্টির দিনে তাদের দুর্ভোগের অন্ত ছিলো না। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিক আলফাজ সরকারের মাধ্যমে অবগত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা । খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক যোগাযোগ করে পৌরসভার মাধ্যমে প্রায় ১কিলোমিটার রাস্তাটি করার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করেন। আপাতত মন্দির পর্যন্ত রাস্তা ব্রিক সলিং করে দেন তিনি। সামনের টেন্ডারের মাধ্যমে বাকি রাস্তা নির্মাণের কথা নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নতুন রাস্তা পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়েছেন সেখানে বসবাসরত কয়েক শ আদিবাসী।

রাস্তা পেয়ে শ্রী অধীন চন্দ্র বর্মন নামের এক পূজারী বলেন, আগে বৃষ্টির দিনে পূজা দিতে মন্দিরে যেতে হাঁটু সমান কাঁদা ঠেলতে হতো। শিশু ও বৃদ্ধদের অনেক কষ্ট হতো। রাস্তাটি হওয়ায় এখন দুর্ভোগ শেষ হলো। পূজার আনন্দে সকলেই শামিল হতে পারবে।

শ্রীমতি দ্বিপালী রানী নামের একজন বলেন, ২ যুগ ধরে গর্তে ভরা মাটির রাস্তা দিয়েই আমরা চলাচল করি। পৌরসভায় বারবার গিয়েও ফল পাইনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আমাদের জন্য এই রাস্তা দিয়ে কতোটা উপকার করেছেন তা বুঝাতে পারবো না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ আশার দিগন্ত কে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই পৌরসভার সকল ওয়ার্ডেই রাস্তার ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নাগরিকরা। এই মর্মে নানা আবেদন আসছে। এছাড়াও ৫ তারিখের পর পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিষয়গুলো আমার নজরে আসে। সকল ওয়ার্ডেই খোঁজ খবর নিয়ে সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো পর্যায়ক্রমে উন্নয়ন করা হচ্ছে। আগামী টেন্ডারে বাকি রাস্তা গুলো হবে ইনশাআল্লাহ। এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করি।

জনপ্রিয়

শ্রীমঙ্গলে বাউল আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

পূজায় রাস্তা উপহার দিলেন ইউএনও

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

মোঃসুলতান মাহমুদ,গাজীপুর প্রতিনিধি :

গাজীপুরের শ্রীপুরে আদিবাসীদের পুরাতন একটি লক্ষী মন্দিরে যাতায়াতের জন্য নতুন রাস্তা করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ।

আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরের দিকে সরেজমিনে গিয়ে পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ড লোহাগাছ খাসপাড়া শ্রীশ্রী লক্ষী মন্দিরে যাতায়াতের জন্য ওই রাস্তায় জনসাধারণের চলাচলের দৃশ্য দেখা যায়।

স্থানীয় ও আদিবাসী সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে খানাখন্দভরা মাটির রাস্তায় যাতায়াত করে পুরাতন লক্ষী মন্দিরে পূজা দিয়ে আসছেন শ্রীপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড লোহাগাছ খাসপাড়া এলাকায় বসবাসরত আদিবাসী হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক শ মানুষ। এছাড়াও ওই এলাকায় বিকল্প রাস্তা না থাকায় এ পথেই স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও কারখানার শ্রমিকরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছান। বৃষ্টির দিনে তাদের দুর্ভোগের অন্ত ছিলো না। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিক আলফাজ সরকারের মাধ্যমে অবগত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা । খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক যোগাযোগ করে পৌরসভার মাধ্যমে প্রায় ১কিলোমিটার রাস্তাটি করার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করেন। আপাতত মন্দির পর্যন্ত রাস্তা ব্রিক সলিং করে দেন তিনি। সামনের টেন্ডারের মাধ্যমে বাকি রাস্তা নির্মাণের কথা নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নতুন রাস্তা পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়েছেন সেখানে বসবাসরত কয়েক শ আদিবাসী।

রাস্তা পেয়ে শ্রী অধীন চন্দ্র বর্মন নামের এক পূজারী বলেন, আগে বৃষ্টির দিনে পূজা দিতে মন্দিরে যেতে হাঁটু সমান কাঁদা ঠেলতে হতো। শিশু ও বৃদ্ধদের অনেক কষ্ট হতো। রাস্তাটি হওয়ায় এখন দুর্ভোগ শেষ হলো। পূজার আনন্দে সকলেই শামিল হতে পারবে।

শ্রীমতি দ্বিপালী রানী নামের একজন বলেন, ২ যুগ ধরে গর্তে ভরা মাটির রাস্তা দিয়েই আমরা চলাচল করি। পৌরসভায় বারবার গিয়েও ফল পাইনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আমাদের জন্য এই রাস্তা দিয়ে কতোটা উপকার করেছেন তা বুঝাতে পারবো না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ আশার দিগন্ত কে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই পৌরসভার সকল ওয়ার্ডেই রাস্তার ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নাগরিকরা। এই মর্মে নানা আবেদন আসছে। এছাড়াও ৫ তারিখের পর পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিষয়গুলো আমার নজরে আসে। সকল ওয়ার্ডেই খোঁজ খবর নিয়ে সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো পর্যায়ক্রমে উন্নয়ন করা হচ্ছে। আগামী টেন্ডারে বাকি রাস্তা গুলো হবে ইনশাআল্লাহ। এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করি।