ফারুকুর রহমান বিনজু পটিয়া (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি: কক্সবাজার আইকনিক স্টেশান হতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য রাত ৮টায় ছেড়ে যায় সৈকত এক্সপ্রেস।রাত সাড়ে ৯টায় হারবাং-লোহাগাড়া পৌঁছেলে ট্রেন চালক দুর থেকে দেখতে পায় রেললাইনে বিরাট হাতির পাল। চালক ঘন ঘন হর্ণ বাজিয়ে রেললাইন হতে হাতির পাল সরে যাবার সংকেত দিচ্ছেন।হাতির পাল আস্তে আস্তে সরে যেতে থাকলে ট্রেন হাতির পাশ দিয়ে চলে যায় ।ঘটনাটি ঘটে ১৬সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার।
এর আগেই একবার একই ঘটনা ঘটে তাও চট্টগ্রাম গামী সৈকত এক্সপ্রেস লোহাগাড়া এলাকায় রেললাইনের উপর দাড়ানো ছিল একটি হাতি। চালক আবদুল আউয়াল উপুর্যপরি হর্ণ বাজিয়ে হাতিকে লাইন থেকে নামিয়ে ট্রেন চলা শুরু করে।ট্রেনের শেষে পরিচালকের বগীতে হাতিটি আঘাত করতে থাকে। পরিচালক সাথে সাথে চালককে জানান।ঘটনাটি ঘটে ২৩জুলাই।গত বছর ১৬ই অক্টোবর ট্রেনের আঘাতে হাতির মৃত্যু হয়। এভাবে যদি বার বার হাতির পালের সম্মুখে যাত্রী ও পর্যটকের মুখোমুখি হয় তাতে যাত্রীরা আতংকিত হয়ে উঠবে।
পরিবেশবিদরা বলেন, রেলপথ নির্মাণে লোহাগাড়া-হারবাং সেকশনে চুনতি অভয়ারণ্যে ১২কি:মি: অপরিকল্পিত ভাবে পাহাড় কাটায় হাতি চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় হাতির পাল রেললাইনে অবস্থান করে।যে আন্ডারপাস নির্মিত হয়েছিল তাও পরিবেশ সম্মতি হয়নি।ফলে কক্সবাজার রেলপথ দিয়ে চলাচলরত সকল ট্রেন বার বার হাতির পাল দেখা যাওয়ার কারণে ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে দাড়ায়।
যাত্রী সাধারণ ও পরিবেশবান্ধবরা বলেন,রেল ও হাতি উভয়কে রক্ষা করতে হবে। সেই ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে রেল কতৃপক্ষের নিকট আবেদন জানান।