
মোঃ বিল্লাল হোসেন, শেরপুর থেকেঃ
শেরপুরে যৌতুক লোভি স্বামীর যৌতুকের দাবি মেটাতে না পেরে স্বামীর ঘর করতে পারছে না গৃহবধূ হালিমা আক্তার (২৫)। হালিমা আক্তার উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া গ্রামের মরহুম হযরত আলীর কন্যা। জানা গেছে গত ৭বছর পূর্বে হালিমা আক্তারের বিয়ে হয় একই গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে সোহেল রানার সাথে। অভিযোগে প্রকাশ বিয়ের সময় সোহেল রানাকে ২ লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়।
তাদের দাম্পত্য জীবনে একজন কন্যা সন্তান ও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই যৌতুক লোভি সোহেল রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা আরো ২ লাখ টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে দিতে হালিমা আক্তারকে চাপ দেয়। কিন্ত গৃহবধূ হালিমা আক্তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে না পাড়ায়। তার উপর নেমে আসে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজনের অমানবিক নির্যাতন।
এক পর্যায়ে সোহেল রানা গত প্রায় ২ বছর পুর্বে হালিমা আক্তার ও তার সন্তানকে বাবার বাড়িতে রেখে যায়। গত দুই বছর ধরে সোহেল রানা স্ত্রী সন্তানের ভরনপোষণ করেন না। বর্তমানে সন্তানসহ বিধবা মাতা রাশিদা বেগম ঘরে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে হালিমা আক্তার ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সোহেল রানা হালিমা আক্তারের বাবার বাড়িতে এসে পুনরায় ২ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে। কিন্ত হালিমার মা রাশিদা বেগম সোহেল রানার দাবি মেটাতে না পাড়ায় সোহেল রানা উত্তেজিত হয়ে শশুর বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে হালিমা আক্তারকে মারধর করে। পরে হালিমা আক্তার বাদি হয়ে স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করনি।
অপর দিকে সোহেল রানা ও তার পরিবারের লোকজন হালিমা আক্তার ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাননাশের হুমকি ও নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। ফলে হালিমা আক্তার ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো,আল আমিন বলেন এবিসয়ে ভিকটিমের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।