মোঃ শান্ত খান বিশেষ প্রতিনিধি: ঢাকা জেলা বিএনপির রাজনীতিতে এমন একজন নেতা আছেন, যিনি অল্প সময়ের ব্যবধানে হাজারো নেতা-কর্মীকে একত্রিত করে যেকোনো সভা-সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে পারেন। তাঁর ডাকে সাড়া দেয় তৃণমূলের প্রতিটি কর্মী, প্রতিটি ইউনিয়ন, প্রতিটি ওয়ার্ডের বিএনপি নেতাকর্মী।অতীতে তিনি তা প্রমাণ করেছেন, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও করবেন— এমনটাই বিশ্বাস ঢাকা জেলা বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের।
তিনি আর কেউ নন— লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম,
তিনি সাবেক ঢাকা জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই তিনি মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয়, সাহসী ও ত্যাগী নেতৃত্বের প্রতীক।
দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলা
লায়ন মোঃ খোরশেদ আলমের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ছাত্র রাজনীতি থেকে। তরুণ বয়সেই তিনি রাজপথে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। দলীয় ত্যাগ, নিষ্ঠা ও সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে তিনি দ্রুত জেলা পর্যায়ে নেতৃত্বে আসেন।
তিনি ছিলেন,সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা জেলা বিএনপি,সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, ঢাকা জেলা যুবদল,সাবেক সর্বকনিষ্ঠ সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল,এবং বারবার নির্বাচিত সাভার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর
এই দীর্ঘ সময় তিনি ছিলেন দলের সুখ-দুঃখে পাশে, আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতিটি মুহূর্তে মাঠে উপস্থিত। বিএনপির দুঃসময়ে যখন অনেকেই গুটিয়ে ছিলেন, তখন লায়ন খোরশেদ আলম দৃঢ়ভাবে রাজপথে থেকে দলকে সংগঠিত করেছেন।
তৃণমূলের অকৃত্রিম ভালোবাসা
তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন,লায়ন খোরশেদ আলম কেবল একজন নেতা নন, তিনি কর্মীদের আশ্রয় ও প্রেরণা। তিনি যে কাউকে পরামর্শ দেন, সাহস দেন, পাশে থাকেন। তাঁর হাত ধরে সাভার, ধামরাই ও আশপাশের বিএনপি নতুন উদ্যমে সংগঠিত হয়েছে।”
তাদের মতে, তিনি এমন এক নেতা যিনি কখনো নিজের স্বার্থ দেখেননি— বরং দলের স্বার্থ ও জনগণের কল্যাণকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। রাজনীতির প্রতিটি স্তরে তাঁর প্রভাব স্পষ্ট এবং গ্রহণযোগ্যতা তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত।
তৃণমূলের দাবি— মেয়র পদে মনোনয়ন চান খোরশেদ আলম
আসন্ন সাভার পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে একটাই প্রত্যাশা—“আমরা চাই, বিএনপির পক্ষ থেকে সাভার পৌর মেয়র পদে প্রার্থী হোন লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম ভাই।”
তারা বলেন, দলের প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা, নেতৃত্বগুণ, সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনভিত্তির কারণে তিনিই হচ্ছেন সাভারের সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী। জনগণের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা এবং সুনাম অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি।
একজন স্থানীয় বিএনপি নেতা বলেন, খোরশেদ ভাই মাঠে না থাকলে সাভারের বিএনপির কার্যক্রম কল্পনা করা যায় না। তাঁর ডাকে পুরো উপজেলা একত্রিত হয়।”
দল ও জনগণের প্রতি নিবেদিত এই নেতার মূল লক্ষ্য বিএনপিকে সুসংগঠিত রাখা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখা।লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম বলেন,দল ও নেতাকর্মীরাই আমার শক্তি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশই আমার রাজনৈতিক পথনির্দেশ। আমি জনগণের জন্য রাজনীতি করি, দলের জন্য নিবেদিত।”
তিনি বিশ্বাস করেন, বিএনপির পুনরুত্থান সম্ভব তৃণমূলের ঐক্যের মাধ্যমেই, আর সেই ঐক্য গড়ার লড়াইয়ে তিনি সদা প্রস্তুত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ঢাকা জেলার রাজনীতিতে লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম এখন আস্থার প্রতীক। তাঁর নেতৃত্বে সাভার বিএনপি শুধু সংগঠিত হয়নি, বরং নতুন প্রজন্মের কর্মীরাও রাজনীতিতে উৎসাহিত হয়েছে।
তাঁর নেতৃত্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বিনয়, কর্মীদের প্রতি আন্তরিকতা ও সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা।
তাঁরা মনে করেন, সাভার পৌরসভার রাজনীতিতে বিএনপি যদি নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে চায়, তবে লায়ন খোরশেদ আলমের মতো মাঠের পরীক্ষিত নেতার নেতৃত্বই হতে পারে দলের পুনরুত্থানের মূল চাবিকাঠি।
ঢাকা জেলার বিএনপি রাজনীতির মাঠে লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম এক সাহসী, ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতার নাম। তৃণমূলের ভালোবাসা, কর্মীদের আস্থা এবং রাজনৈতিক সততা— এই তিন শক্তিকে সঙ্গী করে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন দলের বিজয়ের পথে।তাঁর নেতৃত্বে আগামী দিনে সাভার বিএনপি আরও ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী ও জনমুখী হবে এমনটাই আশা করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।