, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে বাউল আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অভিমানে পরোপারে পাড়ি জমালেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ইসমতআরা! পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব

দলীয় মুখপাত্র ও কাউন্সিলর কলকাতা কর্পোরেশন অরুপ চক্রবর্তী, উপস্থিতে জয়নগর টাউন হলে বিজয়া সম্মিলনী

  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৯ পড়া হয়েছে

মোমিন আলি লস্কর জয়নগর ভারত(আন্তর্জাতিক):

সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা। বিশ্ব বিখ্যাত বাংলার বড় উৎসব দুর্গাপূজা শেষ হলো।দুর্গোৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে নতুন উৎসব—বিজয়া সম্মিলনী। তবে এর অন্তরালে লুকিয়ে রয়েছে ২০২৬-এর ভোট লড়াইয়ের আগাম প্রস্তুতি। বাংলার মানুষের মিলন-পার্বণ তাই এবারে হয়ে উঠতে চলেছে ২০২৬ এর ভোটের যুদ্ধের মঞ্চ। দুর্গাপূজার পরেই বাংলার রাজনীতির মঞ্চে শুরু হয়েছে নতুন উত্তাপ। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নির্দেশে আজ জয়নগর বিধানসভার বিধায়ক বিশিষ্ট শিক্ষক ও সাংগঠনিক চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ দাসের উদ্যোগে জয়নগর টাউন হলে দলীয় মুখপাত্র ও কাউন্সিলর কলকাতা কর্পোরেশন অপরুপ চক্রবর্তী ও সুন্দরবন সংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিধায়ক জয়দেব হালদার উপস্থিতে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হল।এই বিজয় সম্মেলন অনুষ্ঠানে দলীয় মুখপাত্র ও কাউন্সিলর কলকাতা কর্পোরেশন অরুপ চক্রবর্তী,সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিধায়ক জয়দেব হালদার , জয়নগর বিধানসভার কেন্দ্রের বিশিষ্ট শিক্ষক বিশ্বনাথ দাস,উক্ত সভায় সঞ্চালনা ব্লক সভাপতি তুহিন বিশ্বাস, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়হীন বাহিনীর সহসভাপতি রাজু লস্কর, জয়নগর এক নম্বর ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সাম্মিম আহমেদ ঢালী, বহড়ুক্ষেএ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের যুব সভাপতি আবু কালাম,গড়দেওয়ানী অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি সাহাবুদ্দিন শেখ, ময়দা অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি জান্নাত হোসেন মোল্লা, জেলা পরিষদের সদস্যা বন্দনা লস্কর, জয়নগর এক নম্বর ব্লকের আই,এন,টি,টি,ইউ সি সভাপতি মাতিন হালদার জয়নগর এক নম্বর ব্লক সমিতির সভাপতি ঋতুপর্ণা বিশ্বাস, জয়নগর দুই নম্বর ব্লক সমিতির সভাপতি প্রিয়ঙ্কা মন্ডল জয়নগর দুই নম্বর ব্লকের খাদ্যের কর্মদক্ষ্য ওয়াহিদ মোল্লা, কণ্যকান্তি হালদার, জয়নগর বিধানসভার কেন্দ্রের সমস্ত অঞ্চলের প্রধান, উপপ্রধান, সদস্য সদস্যা সহ একাধিক দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে এদিন শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অপরুপ চক্রবর্তী জানান উৎসবের এই মহা-মিলন মেলা মানুষের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার মিলন সেতু ।তবে তিনি আনন্দঘন পরিবেশ ও রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে ভুলেনি। তিনি বিজেপিকে কড়া সুরে আক্রমণ শানিয়ে অরূপ চক্রবর্তী বলেন বিসর্জন হবে ঠিকই তবে তা বাংলার মানুষের নয় ।বিসর্জন হবে বিজেপির জমিদারদের । দুর্গাপূজা শেষ হতেই কার্যত ভোট উৎসবের মঞ্চে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ।এবার হাতিয়ার করা হয়েছে বিজয় সম্মেলনী কে। মানুষের আবেগ উৎসব ও সংস্কৃতির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে চাইছে তৃণমূল। বিজয়া সম্মিলনী তাই শুধু শুভেচ্ছা বিনিময় নয় বরণ এবারে ভোট মুখি বার্তা দেওয়াও এক বড় মাধ্যম হতে চলেছে শুধু রাজনৈতিক প্রচার প্রচারেই নয় বিজয়া সম্মেলনী মঞ্চ থেকে বাঙালি পরিচয় এর রাজনীতিকে আরোও যোদ্ধার করতে চায় রাজ্যের শাসক দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বহুবার বলেছেন দুর্গাপূজা বা বিজয়া কেবল ধর্মীয় আচার নয় এটি বাঙালির সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। সেই ঐতিহ্য কে সামনে রেখে তৃণমূল রাজ্যের মানুষকে আবেগবন্ধনে আবদ্ধ করতে চাইছে।এক্স-এ (সাবেক টুইটার) অভিষেক লেখেন, “মা যখন ফিরে যান তাঁর দেবালয়ে, তখন রেখে যান এক বার্তা-সত্যের জয়, ন্যায়ের বিজয় এবং মানবতার ঐক্য। মা দুর্গার আলোকে পথ চলুক বাংলা।” তাঁর এই বার্তা রাজনৈতিক মহলে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

শ্রীমঙ্গলে বাউল আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

দলীয় মুখপাত্র ও কাউন্সিলর কলকাতা কর্পোরেশন অরুপ চক্রবর্তী, উপস্থিতে জয়নগর টাউন হলে বিজয়া সম্মিলনী

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

মোমিন আলি লস্কর জয়নগর ভারত(আন্তর্জাতিক):

সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা। বিশ্ব বিখ্যাত বাংলার বড় উৎসব দুর্গাপূজা শেষ হলো।দুর্গোৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে নতুন উৎসব—বিজয়া সম্মিলনী। তবে এর অন্তরালে লুকিয়ে রয়েছে ২০২৬-এর ভোট লড়াইয়ের আগাম প্রস্তুতি। বাংলার মানুষের মিলন-পার্বণ তাই এবারে হয়ে উঠতে চলেছে ২০২৬ এর ভোটের যুদ্ধের মঞ্চ। দুর্গাপূজার পরেই বাংলার রাজনীতির মঞ্চে শুরু হয়েছে নতুন উত্তাপ। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নির্দেশে আজ জয়নগর বিধানসভার বিধায়ক বিশিষ্ট শিক্ষক ও সাংগঠনিক চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ দাসের উদ্যোগে জয়নগর টাউন হলে দলীয় মুখপাত্র ও কাউন্সিলর কলকাতা কর্পোরেশন অপরুপ চক্রবর্তী ও সুন্দরবন সংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিধায়ক জয়দেব হালদার উপস্থিতে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হল।এই বিজয় সম্মেলন অনুষ্ঠানে দলীয় মুখপাত্র ও কাউন্সিলর কলকাতা কর্পোরেশন অরুপ চক্রবর্তী,সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিধায়ক জয়দেব হালদার , জয়নগর বিধানসভার কেন্দ্রের বিশিষ্ট শিক্ষক বিশ্বনাথ দাস,উক্ত সভায় সঞ্চালনা ব্লক সভাপতি তুহিন বিশ্বাস, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়হীন বাহিনীর সহসভাপতি রাজু লস্কর, জয়নগর এক নম্বর ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সাম্মিম আহমেদ ঢালী, বহড়ুক্ষেএ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের যুব সভাপতি আবু কালাম,গড়দেওয়ানী অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি সাহাবুদ্দিন শেখ, ময়দা অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি জান্নাত হোসেন মোল্লা, জেলা পরিষদের সদস্যা বন্দনা লস্কর, জয়নগর এক নম্বর ব্লকের আই,এন,টি,টি,ইউ সি সভাপতি মাতিন হালদার জয়নগর এক নম্বর ব্লক সমিতির সভাপতি ঋতুপর্ণা বিশ্বাস, জয়নগর দুই নম্বর ব্লক সমিতির সভাপতি প্রিয়ঙ্কা মন্ডল জয়নগর দুই নম্বর ব্লকের খাদ্যের কর্মদক্ষ্য ওয়াহিদ মোল্লা, কণ্যকান্তি হালদার, জয়নগর বিধানসভার কেন্দ্রের সমস্ত অঞ্চলের প্রধান, উপপ্রধান, সদস্য সদস্যা সহ একাধিক দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে এদিন শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অপরুপ চক্রবর্তী জানান উৎসবের এই মহা-মিলন মেলা মানুষের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার মিলন সেতু ।তবে তিনি আনন্দঘন পরিবেশ ও রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে ভুলেনি। তিনি বিজেপিকে কড়া সুরে আক্রমণ শানিয়ে অরূপ চক্রবর্তী বলেন বিসর্জন হবে ঠিকই তবে তা বাংলার মানুষের নয় ।বিসর্জন হবে বিজেপির জমিদারদের । দুর্গাপূজা শেষ হতেই কার্যত ভোট উৎসবের মঞ্চে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ।এবার হাতিয়ার করা হয়েছে বিজয় সম্মেলনী কে। মানুষের আবেগ উৎসব ও সংস্কৃতির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে চাইছে তৃণমূল। বিজয়া সম্মিলনী তাই শুধু শুভেচ্ছা বিনিময় নয় বরণ এবারে ভোট মুখি বার্তা দেওয়াও এক বড় মাধ্যম হতে চলেছে শুধু রাজনৈতিক প্রচার প্রচারেই নয় বিজয়া সম্মেলনী মঞ্চ থেকে বাঙালি পরিচয় এর রাজনীতিকে আরোও যোদ্ধার করতে চায় রাজ্যের শাসক দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বহুবার বলেছেন দুর্গাপূজা বা বিজয়া কেবল ধর্মীয় আচার নয় এটি বাঙালির সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। সেই ঐতিহ্য কে সামনে রেখে তৃণমূল রাজ্যের মানুষকে আবেগবন্ধনে আবদ্ধ করতে চাইছে।এক্স-এ (সাবেক টুইটার) অভিষেক লেখেন, “মা যখন ফিরে যান তাঁর দেবালয়ে, তখন রেখে যান এক বার্তা-সত্যের জয়, ন্যায়ের বিজয় এবং মানবতার ঐক্য। মা দুর্গার আলোকে পথ চলুক বাংলা।” তাঁর এই বার্তা রাজনৈতিক মহলে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।