প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৭, ২০২৫, ৮:৫১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৬, ২০২৫, ৪:০০ পি.এম
টাকা নিতে গিয়ে হোটেল মালিকের স্ত্রীকে বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
লালমনিরহাট ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটে টাকা নিতে গিয়ে একজন হোটেল মালিকের স্ত্রীকে এক বাবা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) এ ঘটনায় পৌরসভা এলাকার তালুক খুটামারা বটতলায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সচেতন মহলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট পৌরসভার ০১ নম্বর ওয়ার্ডের তালুক খুটামারা বটতলা এলাকায় হোটেল ব্যবসা করতেন মশিউর রহমান ও তার স্ত্রী। হোটেল ব্যবসায়ের কাঁচামাল ক্রয় করতেন জেরিন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সফিকুল ইসলামের কাছ থেকে। ব্যবসায়িক লেনদেনের একপর্যায়ে ৪৩০০ টাকা জেড় পড়ে যায়।
পাওনাকৃত টাকা উত্তোলনের জন্য শফিকুল ইসলাম (২৮) ও তার পিতা হযরত আলী (৫৮)
মশিয়ারের দোকানে যায়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মশিউর রহমান তার দোকানে থাকা একটি মনিটর ও একটি সাউন্ড বক্স শফিকুর রহমানের হাতে দেয় এবং টাকা পরিশোধ করে মালামাল ফেরত নেওয়ার কথা বলে।
মালামাল শফিকুলের নিকট থাকার পরেও পুনরায় শফিকুল ইসলাম ও তার পিতা হযরত আলী মশিউরের দোকানে আবারো গিয়ে হট্টগোল, গালিগালাজ করেন। এতে মশিউর বিরক্ত হয়ে মশিউর রহমান এর প্রতিকারের জন্য বাহার কমিটির দারস্থ হয়।
এ ঘটনায় বাজার কমিটি ০৯-১০-২০৫ ইং তারিখে উভয় পক্ষকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করলে মশিউর রহমান বলে ,একসাথে এতগুলো টাকা দেয়া আমার জন্য কষ্টসাধ্য হবে তাই ধীরে ধীরে পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেয় বাজার কমিটিকে। বাজার কমিটি টাকা পরিশোধের জন্য মশিউরকে ৪০ দিনের সময় দেয়। যা নিয়ে অপর পক্ষ শফিকুলের কোন দ্বিমত ছিলোনা বলে জানা যায় কমটির মাধ্যমে।
এদিকে মশিউর রহমান গত ০১ অক্টোবর দোকান বাদ ছেড়ে দেয়ার কথা থাকায় কমিটির সভাপতির মাধ্যমে কিছু টাকা শফিকুলকে দেয়া হয়।
মশিউর রহমানের দোকান ছেড়ে দেয়ার কথা শুনে শফিকুল ইসলাম ও তার পিতা হযরত আলী মশিউর রহমানের দোকানে গিয়ে অকথ্য ভাষা গালিগালাজ করার চেষ্টা করেন। এ সময় হযরত আলী তার পরনে থাকা লুঙ্গি উপরে তুলে তার গোপনাঙ্গ দেখানোর চেষ্টা করে এবং শফিকুল ইসলাম গেঞ্জি খুলে মহিলাকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করার চেষ্টা করে।
এ ধরনের ঘটনায় বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ নুরুন্নবী কে ফোনে ব্যস্ত পাওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। প্রায় ১০০ জনের মত ব্যবসায়ী, ও স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিগন শফিকুল এর বিরুদ্ধে গণ স্বাক্ষর দিয়েছে। তিনি আরো জানান ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
© আশার দিগন্ত সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কালের বার্তা