, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে বাউল আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অভিমানে পরোপারে পাড়ি জমালেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ইসমতআরা! পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব

দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে শেষ হলো মৎস্যজীবী খায়রুজ্জামানের স্বপ্ন

  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫০ পড়া হয়েছে

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান আশাশুনি(সাতক্ষীরা) প্রাতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে শেষ হলো মৎস্যজীবী খায়রুজ্জামানের স্বপ্ন। মাছ ধরার ১১ টি জালে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা,এতে ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। দীর্ঘ এক বছরের স্বপ্ন ধুলায় মিশে গেল মুহুর্তের মধ্যে।

সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে,উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা গ্রামের নূর মোহাম্মাদ বিশ্বাসের পুত্র খায়রুজ্জামান সাগরে জাল ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বেশ কিছুদিন ধরে জাল তৈরীর কাজে ব্যস্ত ছিলেন খাইরুজ্জামান ও তার সঙ্গীরা। বনবিভাগের পাস পেলেই সুমুদ্রে যাবেন মাছ আহরণ করতে। কিন্তু বিধিবাম রবিবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেছে তার ১১টি বেড় জাল। খায়রুজ্জামানসহ তার সঙ্গীয় আরও ৩০/৩২ জন মৎস্যজীবি বনবিভাগের অনুমতি পেলে পাঁচ মাসের জন্য দুবলার চর এলাকায় গভীর সুমুদ্রে মাছ ধরার জন্য জাল প্রস্তুত শেষে সোমবার সকালে নৌকায় তোলার কথা ছিল। কিন্তু রাতেই পেট্রোল ব্যবহার করে আগুন দিয়ে বিশ লক্ষ টাকার এগারটি জাল ধ্বংস করা হয়। সর্বশান্ত হয়েছে মৎস্যজীবি খায়রুজ্জামান সহ আরও ৩০জন মৎস্যজীবি। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সুমুদ্রে মাছ আহরণ করা। প্রতিনিয়ত বেড়িবাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ে প্রতাপনগর এলাকার এসকল মানুষ। তাই জলে কুমির আর ডাঙায় ডাকাতের আক্রমণকে উপেক্ষা করে জীবন বাজি রেখে পরিবার ও জীবন জীবিকার তাগিদে গভীর সুমুদ্রে মাছ ধরার কাজ বেছে নিয়েছিল তারা। তাদের মাছ ধরার বেড় জালের সাথে সাথে পুড়ে গেছে তাদের সব স্বপ্ন।
স্থানীয় মাওলানা তৌহিদুজ্জামান জানান,রাস্তায় চিৎকারের শব্দ শুনে গিয়ে দেখি খায়রুজ্জামানের বেহুন্দিজাল দাউ দাউ করে জ্বলছে। তখন আমরা পানি দিয়ে নিভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু পেট্রোলের গন্ধ পেয়ে ছিলাম। হাবিবুর রহমান জানান,আগুন নিভানোর পর আমার রাস্তার উপর থেকে একটি গ্যাস লাইট পাই।
এঘটনায় খায়রুজ্জামান বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দাখিল করেছেন। তিনি(খায়রুজ্জামান)সরকার,বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নিকট সহযোগিতা কামনা করেছেন। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সামসুল আরেফিন জানান, এজাহার পেয়েছি,মামলা হবে,তদন্তপূর্বক দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু দাউদ জানান,আমি ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছি,খুবই নেক্কারজনক ঘটনা,রাত দুইটা পর্যন্ত তারা সেখানে ছিল,তিনটার পরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে,কে বা কারা করেছে আল্লাহ পাক ভালো জানেন। এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন,আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারী শাহ ওহিদুজ্জামান শাহিন,সমাজ কল্যান সম্পাদক ও প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওঃ রিয়াছাত আলী,ইউনিয়ন আমীর মাওঃ অহিদুজ্জামান,নায়েবে আমীর মাওঃ শফিকুল ইসলাম,সেক্রেটারী মাওঃ আল-আমিন,সাংবাদিক আবু সালেহ প্রমুখ।

জনপ্রিয়

শ্রীমঙ্গলে বাউল আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে শেষ হলো মৎস্যজীবী খায়রুজ্জামানের স্বপ্ন

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান আশাশুনি(সাতক্ষীরা) প্রাতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে শেষ হলো মৎস্যজীবী খায়রুজ্জামানের স্বপ্ন। মাছ ধরার ১১ টি জালে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা,এতে ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। দীর্ঘ এক বছরের স্বপ্ন ধুলায় মিশে গেল মুহুর্তের মধ্যে।

সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে,উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা গ্রামের নূর মোহাম্মাদ বিশ্বাসের পুত্র খায়রুজ্জামান সাগরে জাল ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বেশ কিছুদিন ধরে জাল তৈরীর কাজে ব্যস্ত ছিলেন খাইরুজ্জামান ও তার সঙ্গীরা। বনবিভাগের পাস পেলেই সুমুদ্রে যাবেন মাছ আহরণ করতে। কিন্তু বিধিবাম রবিবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেছে তার ১১টি বেড় জাল। খায়রুজ্জামানসহ তার সঙ্গীয় আরও ৩০/৩২ জন মৎস্যজীবি বনবিভাগের অনুমতি পেলে পাঁচ মাসের জন্য দুবলার চর এলাকায় গভীর সুমুদ্রে মাছ ধরার জন্য জাল প্রস্তুত শেষে সোমবার সকালে নৌকায় তোলার কথা ছিল। কিন্তু রাতেই পেট্রোল ব্যবহার করে আগুন দিয়ে বিশ লক্ষ টাকার এগারটি জাল ধ্বংস করা হয়। সর্বশান্ত হয়েছে মৎস্যজীবি খায়রুজ্জামান সহ আরও ৩০জন মৎস্যজীবি। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সুমুদ্রে মাছ আহরণ করা। প্রতিনিয়ত বেড়িবাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ে প্রতাপনগর এলাকার এসকল মানুষ। তাই জলে কুমির আর ডাঙায় ডাকাতের আক্রমণকে উপেক্ষা করে জীবন বাজি রেখে পরিবার ও জীবন জীবিকার তাগিদে গভীর সুমুদ্রে মাছ ধরার কাজ বেছে নিয়েছিল তারা। তাদের মাছ ধরার বেড় জালের সাথে সাথে পুড়ে গেছে তাদের সব স্বপ্ন।
স্থানীয় মাওলানা তৌহিদুজ্জামান জানান,রাস্তায় চিৎকারের শব্দ শুনে গিয়ে দেখি খায়রুজ্জামানের বেহুন্দিজাল দাউ দাউ করে জ্বলছে। তখন আমরা পানি দিয়ে নিভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু পেট্রোলের গন্ধ পেয়ে ছিলাম। হাবিবুর রহমান জানান,আগুন নিভানোর পর আমার রাস্তার উপর থেকে একটি গ্যাস লাইট পাই।
এঘটনায় খায়রুজ্জামান বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দাখিল করেছেন। তিনি(খায়রুজ্জামান)সরকার,বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নিকট সহযোগিতা কামনা করেছেন। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সামসুল আরেফিন জানান, এজাহার পেয়েছি,মামলা হবে,তদন্তপূর্বক দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু দাউদ জানান,আমি ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছি,খুবই নেক্কারজনক ঘটনা,রাত দুইটা পর্যন্ত তারা সেখানে ছিল,তিনটার পরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে,কে বা কারা করেছে আল্লাহ পাক ভালো জানেন। এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন,আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারী শাহ ওহিদুজ্জামান শাহিন,সমাজ কল্যান সম্পাদক ও প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওঃ রিয়াছাত আলী,ইউনিয়ন আমীর মাওঃ অহিদুজ্জামান,নায়েবে আমীর মাওঃ শফিকুল ইসলাম,সেক্রেটারী মাওঃ আল-আমিন,সাংবাদিক আবু সালেহ প্রমুখ।