ফারুকুর রহমান বিনজু পটিয়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স দের অবহেলায় হাসপাতাল থেকে ১শ গজ দুরে জঙ্গলে গর্ভবতী মা রেনু আরা বেগম কন্যা সন্তান প্রসাব করেন।
গত ১৮ই অক্টোবর (শনিবার) সন্ধ্যা ৭টা উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের গুচ্চগ্রাম ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রসুতি রেনুর প্রসাব বেদনা দেখা দিলে তার স্বামী ইলিয়াস পার্শ্ববতি খালাতো বোনকে নিয়ে পটিয়া হাসপাতালে আসেন।খালাতো বোন বলেন,রেনুকে নিয়ে আমরা ২তলায় ডেলিভারি রুমে ঢুকলে নার্সরা রেনুকে চেক করে বলে এটা এখানে হবে না। চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাও।বাচ্চার পজিশন উল্টো।তখন কিন্তু বাচ্চা অর্ধেক বেরিয়ে আসে।আমার বোন যন্ত্রণায় ছটফট করছে।তাদের মিনতি করি বলি আপনারা একটু চেষ্টা করুন, সমস্যা হবে না। কে শুনে কার কথা। আমাদেরকে জোর করে ২তলা থেকে নামিয়ে হাতে একটা কাগজ দিয়ে বের করে দেয়।তখন উপায় না দেখে আমি রেনুকে হাসপাতালের পাশে জঙ্গলে নিয়ে সন্তান প্রসাব করায়।তাদের কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা পাইনি।সামান্য একটি কাচিঁ চেয়েছিলাম দেয়নি।নার্স অনামিকা বলেন, বাচ্চার পজিশন ভালো নয় তাই চট্টগ্রাম মেডিকেলে চলে যেতে বলি।মেডিকেল অফিসার মিন্টু দে বলেন,নার্সের কথায় রেফার করেছি।
খবর জানা জানি হয়ে গেলে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে।স্হানীয়রা বলেন, নার্সরা রোগীদের জিম্মি করে টাকা আদায় করে।এদের ভাব এমবিবিএস ডাক্তারের মত।সব সময় এরা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে।ডায়রিয়ার চিকিৎসা ছাড়া আর কোন চিকিৎসা নাই।পুরো হাসপাতাল নোংরা আবর্জনায় ভরা।সুস্থ মানুষ অসুস্থ হওয়ার সম্ভবনা বেশি।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা,আবু তৈয়ব বলেন,বাচ্চার আবস্হা বিবেচনা করে হয়তো রেফার করে ছিলেন।একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।স্হানীয়রা দোষীদের প্রশাসনিক শাস্তির দাবি জানান।
কতৃপক্ষ একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, একজন গাইনী চিকিৎসক,রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার,নার্স(ইনচার্জ)কে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ৩দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।