
বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ
ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইলে ৬২ শতাংশ ফর্ম ফিলাপ ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে “বরিশাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট” এর সংবাদ সম্মেলন ও ফরম ফিলাপ শার্টডাউন এবং একাডেমিক সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা।আমরা দেশের বিভিন্ন টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আজ গভীর ক্ষোভ নিয়ে জানাচ্ছি—সম্প্রতি বস্ত্র অধিদপ্তর কর্তৃক আমাদের ফর্ম ফিলাপ ফি হঠাৎ করে প্রায় ৭০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে,যা পূর্বের ফি থেকে ৬০% বেশি ধরা হয়েছে।কোন আগাম ঘোষণা, আলোচনা বা যুক্তি সঙ্গত কারণ ছাড়া এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।যা শিক্ষার্থীদের উপর এক প্রকার অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।আমরা যারা সরকারি টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটে পড়াশোনা করি অনেকেই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় এই অতিরিক্ত টাকা অনেকের জন্যই বড় বোঝা।এছাড়াও একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর ভর্তি ফি তুলনামূলকভাবে অনেক কম, অথচ আমাদের টেক্সটাইল শিক্ষার্থীদের ফি ৫৮০০ টাকা।আমরা জানতে চাই, একই পর্যায়ের শিক্ষা হলেও টেক্সটাইল শিক্ষার্থীদের কেন বেশি টাকা দিতে হবে?আমরা জানি,পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলো পরিচালিত হয় শিক্ষা অধিদপ্তর এর অধীনে।আর আমাদের টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট গুলো পরিচালিত হয় বস্ত্র অধিদপ্তর এর অধীনে।এই পার্থক্য প্রশাসনিক হতে পারে, কিন্তু শিক্ষার মান বা শিক্ষার্থীর অধিকার অনুযায়ী বৈষম্যের অজুহাত হতে পারে না।শিক্ষা একটি জাতীয় অধিকার—কোন অধিদপ্তর পরিচালনা করছে সেটা নয়, শিক্ষার্থীরা কতটা সুযোগ পাচ্ছে সেটাই আসল প্রশ্ন।যদি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে থাকা পলিটেকনিকে কম ফিতে শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে বস্ত্র অধিদপ্তর কেন সেটি পারবে না?আমরা আরও বলতে চাই শিক্ষার মানোন্নয়ন বা অবকাঠামোগত উন্নয়নে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।আজও শিক্ষক সংকট তীব্র, অনেক ল্যাবের যন্ত্রপাতি অচল, ক্লাসে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব।তাহলে প্রশ্ন হলো—শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে ঠিক কোন উন্নয়নের জন্য?ছাত্র ছাত্রীদের দাবিঃআমরা সরকারের কাছে এবং বস্ত্র অধিদপ্তরের নিকট স্পষ্টভাবে দাবি জানাচ্ছি ১.ফর্ম ফিলাপ ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।এরং পূর্বের ফি এ বহাল রাখতে হবে।২.ভর্তি ফি কমাতে হবে।৩.শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে।৪.শিক্ষার্থীদের অগ্রিম নোটিশ ছাড়া ভবিষ্যতে কোনো আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি এই সমস্যার সমাধানের জন্য।এই সময় সীমার মধ্যে যদি কোন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসে, তবে আমরা বাধ্য হবো ফর্ম ফিলাপ কার্যক্রম বর্জন করতে, এবং সমস্ত ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করতে।আমরা সংঘাত চাই না, আমরা চাই ন্যায্য অধিকার।শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যেন কেউ ব্যবসা না করে সেটাই আমাদের একমাত্র দাবি।শিক্ষা নিয়ে বানিজ্য-চলবে না, চলবে না। জয় শিক্ষার্থীর ঐক্যের জয়।

























