মোমিন আলি লস্কর জয়নগর (ভারত আন্তর্জাতিক):-
সাত সকালে ঘটে গেল হাড়হিম করা ঘটনা। সকালে ধান ক্ষেতের থেকে নর কঙ্কাল উদ্ধার।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সোমবার সকালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়নগর থানার অন্তর্গত রাজাপুর করাবেগ অঞ্চলের প্রাপ্ত ভবনকারীরা প্রতিদিনের মতোই প্রাপ্ত ভ্রমণ করতে বেরিয়েছিল।সোমবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক ধান জমির কাজ করতে এসে দেখেন জমির মাঝেতে একটি মানুষের নরকঙ্কাল পড়ে আছে , নরকঙ্কাল দেখে হতবাক হয়ে যান। সেই সময় একজন স্থানীয় ব্যাক্তি জয়নগর এক নম্বর ব্লক সমিতির বন ও ভূমির সংস্কার কর্মধ্যক্ষ শুকুর আলী মোল্লা কে এই নর কঙ্কালের খবর দেয়। শুকুর আলী মোল্লা প্রথমে জয়নগর থানার অন্তর্গত মহিসমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রবির বাবু কে ফোন মারফত খবর জানায়।খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবির বাবু বিশাল পুলিশের টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এর পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পার্থসারথি পাল সহ বকুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এবং পুলিশের বিশেষ টিম।মুহূর্তের মধ্যে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। মুহূর্তের মধ্যে এলাকাবাসীরা ভিড় জমায় ঘটনাস্থলে। এলাকাবাসীরা নর কঙ্কাল দেখে সনাক্ত করে এই নর কঙ্কাল গ্রামেরই এক যুবকের।উদ্ধার হওয়া নর কঙ্কালের নাম পরিচয় জানা যায় অবশেষে। সৌভিক হালদার স্থানীয় গ্রামেরই বাসিন্দা। মূলত সৌভিকের পরিবারের লোকেরা সৌভিকের জামা কাপড় দেখে সনাক্ত করে। সৌভিক পেশায় দিনমজুর। সৌভিকের বাড়ি বকুলতলা থানার অন্তর্গত মায়া হাউরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দাঁড়া গ্রামে।
অবশেষে তার মৃতদেহ উদ্ধার। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে, নর কঙ্কালটি উদ্ধার করে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন পুলিশ। সৌভিকের মৃত্যু কি কারনে হলো তা তদন্ত শুরু করেছে জয়নগর থানার পুলিশ! যদিও সৌভিকের পরিবারের লোকজন কঙ্কালে পরিধান করা জামাকাপড় দেখে সৌভিক বলেই দাবি করেছে। কিন্তু জয়নগর থানার পুলিশ নরকঙ্কালটি কে উদ্ধার করে, ময়না তদন্তের পাশাপাশি মৃত এই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে বারুইপুর এসডিপিও অভিষেক রঞ্জন তিনি জানান, ইতিমধ্যেই আমরা ওই নর কঙ্কালটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ওই যুবকের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদিও স্থানীয় এক যুবকের পরিবার ওই মৃতদেহকে তাদেরই পরিবারের নিখোঁজ যুবকের বলে দাবি জানিয়েছে। আমরা সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছি আপাতত উদ্ধার হওয়া নর কঙ্কাল টিকে আমরা অজ্ঞাত পরিচয় মেনেই তদন্ত শুরু করছি। এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা শুকুর আলী মোল্লা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, প্রতিদিনের মতনই প্রাতঃভ্রমণ করতে বেরিয়েছিলাম আমি।এক জন ব্যক্তি আমাকে খবর দেয় ধান ক্ষেতে একটি নরকঙ্কাল পড়ে আছে ।এরপর তড়িঘড়ি আমি মহিসমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রবির বাবুর খবর দিই।ঘটনা স্থলে পুলিশ এসে নর কঙ্কালটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে। মৃত সৌভিকের দাদা কৌশিক হালদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, এই মৃতদেহ আমার ভাই সৌভিকের । দুর্গাপুজোর তিনদিন আগে নিখোঁজ হয়ে যায় আমার ভাই অবশেষে কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। কঙ্কালের পরিধান করা জামা কাপড় দেখে আমরা চিনতে পেরেছি এটা আমার ভাই। সোমবার সকালে আমি ইটভাটায় কাজে গিয়েছিলাম সেই সময় স্থানীয় বেশ কয়েকজন আমাদেরকে এই খবর জানাই এরপর তড়িঘড়ি আমরা ঘটনাস্থলে এসে দেখি আমার ভাই ! কি হয়েছে তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। স্বাভাবিক অর্থে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক প্রশ্ন-
ঠিক কীভাবে মৃত্যু হলো সৌভিকের? দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা, নাকি খুন?
এই তিনটি সম্ভাবনাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয়দের মধ্যে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুর কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় থমথমে পরিবেশ রাজাপুর করাবেগ অঞ্চলে। স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন।
একইসঙ্গে নিখোঁজ হওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ ধরে সে কোথায় ছিল, কীভাবে ধানক্ষেতে তার কঙ্কাল এল—এই বিষয়গুলোও তদন্ত করে দেখছে জয়নগর থানার পুলিশ।