জাহাঙ্গীর আলম ক্রাইম রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান–এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (বুমা)।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর তিনটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় পথিক টিভির সিইও ও বুমার সভাপতি লিটন হোসাইন জিহাদ এবং কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বুমার সাধারণ সম্পাদক খ. ম. হারুনুর রশীদ ঢালী–এর নেতৃত্বে বুমার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের হাতে ফুলের শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
জেলার সাংবাদিক সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হিসেবে বুমার এ শিষ্টাচারমূলক উদ্যোগকে প্রশাসন–সাংবাদিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—
বুমার সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মাহাদি
দপ্তর সম্পাদক নিশাদুল ইসলাম
কালের ছবির জেলা প্রতিনিধি জাকির হোসাইন জিকু
জুয়েল রানা
জাহাঙ্গীর আলম
পথিক টিভির মনির হোসেন
দৈনিক চ্যানেল নিউজের সাইফুল ইসলাম
এছাড়াও সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসকের বক্তব্য
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন—
“একটি উন্নত, পরিচ্ছন্ন ও শান্তিপূর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ে তুলতে মিডিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যের যথার্থতা, নিরপেক্ষতা ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের অগ্রগতিতেও সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।”
তিনি বুমার নেতৃবৃন্দকে সহযোগিতামূলক মনোভাব বজায় রেখে জেলার উন্নয়নধারাকে আরও ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান।
বুমা নেতৃবৃন্দের বক্তব্য
বুমার সভাপতি লিটন হোসাইন জিহাদ বলেন—
“নবাগত জেলা প্রশাসকের আন্তরিকতা, কর্মদক্ষতা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নেবে—এটাই আমাদের বিশ্বাস। প্রশাসন ও সাংবাদিকদের পারস্পরিক সহযোগিতা থাকলে উন্নয়নের গতি বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।”
বুমার সাধারণ সম্পাদক খ. ম. হারুনুর রশীদ ঢালী বলেন—
“বুমা সব সময় দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মাধ্যমে জেলার ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করে এসেছে। জেলা প্রশাসন ও সাংবাদিক সমাজ একসঙ্গে কাজ করলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আরও সমৃদ্ধ হবে।”
শেষাংশ
সাক্ষাৎ শেষে বুমার নেতৃবৃন্দ নবাগত জেলা প্রশাসককে অভিনন্দন জানিয়ে তার সফল ও জনবান্ধব প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য শুভকামনা জানান।
জেলার মিডিয়া অঙ্গনের সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন—এই সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের মধ্যে আরও সুদৃঢ় কর্মসম্পর্ক গড়ে তুলবে, যা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সামগ্রিক উন্নয়নযাত্রাকে আরও গতিশীল করবে।