
মীর শাহীন স্টাফ রিপোর্টার:
ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার উত্তর চরভূতা রহিমপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (EIIN:101510)
স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রতারণা করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে নিয়োগ বঞ্চিত ও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্যসহ পাঁচজন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
নিয়োগ বঞ্চিত অভিযোগকারীরা হলেন।
০১.মোসাঃ সিমা বেগম, স্বামী: মোঃ আলী আকবর।
০২.মোঃ ইউছুফ, পিতা: মোঃ উজির আহাম্মদ।
০৩.মোঃ মফিজুল ইসলাম, পিতা: মোঃ মজিবল হক।
০৪.মোঃ সোহেল, পিতা: মৃত আবদুল করিম।
০৫.মোঃ সোহেল, পিতা:মোঃ আবুল হোসেন।
নিয়োগ বঞ্চিত অভিযোগকারীরা সকলেই চরভূতা ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা।
নিয়োগ বঞ্চিত মোঃ মফিজুল ইসলাম বলেন,আমি বিদ্যালয়ের জমিদাতা পরিবারের সদস্য এবং ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য ছিলাম।
প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন আমার পুত্রবধূকে আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে গোপনে চার লাখ টাকা নেন এবং কাউকে বিষয়টি না জানাতে অনুরোধ করেন।
আমি চাকরি পাওয়ার আশায় বিষয়টি গোপন রাখলেও তিনি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আঃ হান্নান মিয়ার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আমার পুত্রবধূকে নিয়োগ না দিয়ে অন্য ইউনিয়নের একজনকে আয়া পদে নিয়োগ দেন । আমি উক্ত বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ভূয়া নিয়োগ বাতিল ও পুনরায় নিয়োগ চেয়ে দূর্নিতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছি যার স্বারক নং বশিবো/বিঅ/২০২২/৬৯৯২
তারিখ ০৭-০৮-২০২২.
স্বাক্ষর জালিয়াতি করে পিয়ন,আয়া,পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন উক্ত নিয়োগটি সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ নুরনবী চৌধুরী শাওনের নির্দেশে সম্পন্ন করা হয়েছে এখানে কোন আর্থিক লেনদেন হয়নি।
নিয়োগ বঞ্চিতরা আমার বিরুদ্ধে প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে।
ভুয়া নিয়োগ বিষয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ আঃ হান্নান মিয়া বলেন, আমি বিগত নয় বছর স্কুলের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছি।আমার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে এরকম নিয়োগ হয়নি। প্রধান শিক্ষক আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া নিয়োগ দিয়েছেন। আমি তার আইনগত শাস্তি দাবি করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহ আজিজ বলেন,এ বিষয়ে আমি অবগত নই,লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ তিনি বিগত তিন বছরের শিক্ষকদের হাজিরা বহিও সরিয়ে ফেলেছেন। অনেক শিক্ষক অভিযোগ করেছেন যে তারা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার সুযোগ পাচ্ছেন না। প্রধান শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে অসুস্থতার অজুহাতে বাসায় অবস্থান করেন, ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী আশা করছেন, দুদক,উপজেলা প্রশাসন দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করবে।





















