, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা কালীগঞ্জে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

দুধের বাজারে ঘোষদের সিন্ডিকেট: কম দামে দুধ বিক্রি করে ক্ষতিতে খামারিরা

  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ১০১ পড়া হয়েছে

এম.এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় দুধের বাজারে একটি প্রভাবশালী ঘোষ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না স্থানীয় দুধ উৎপাদনকারী খামারিরা—এমন অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন খামারিদের কাছ থেকে। পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে যেখানে প্রতি লিটার দুধ ৫৫–৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সেখানে শেরপুরে দীর্ঘদিন ধরে প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩৭–৪৫ টাকায়। ফলে লোকসানের বোঝা বইতে হচ্ছে ছোট ও মাঝারি খামারিদের।

‎খামারিদের অভিযোগ, স্থানীয় ঘোষদের একটি সংগঠিত চক্র দুধ সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা যে দাম নির্ধারণ করে, তার বাইরে দুধ বিক্রি করা যায় না। উৎপাদন খরচ দিনদিন বাড়লেও দুধের দাম বাড়ছে না; বরং কম দামে দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন সবাই।

‎এক খামারি বলেন, “গাভী লালন-পালনের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। খাবার, ওষুধ, চিকিৎসা—সবকিছুর দাম এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু ঘোষরা যে দাম দেয়, তা দিয়ে কোনোভাবেই টিকে থাকা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় অনেকে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন।”

‎এদিকে গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ভুসির দাম প্রায় ৫০ টাকা হলেও খামারিরা দুধ বিক্রি করছেন সর্বনিম্ন ৩৭ টাকায়। এতে গাভীর খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

‎এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিয়াজ কাজমীর বলেন, “খামারিরা দেশের প্রাণ। তারা যেন ক্ষতির মুখে না পড়েন, সে বিষয়ে প্রশাসনের সবার সচেতন থাকা প্রয়োজন। দুধের বাজারে যদি কোনো সিন্ডিকেট খামারিদের ক্ষতিগ্রস্ত করে, তবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বাজারে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।”

‎খামারিরা অবিলম্বে বাজারে প্রশাসনিক তদারকি, সিন্ডিকেট ভাঙা এবং ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দুধ উৎপাদন শিল্প বড় ধরনের ধসের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

জনপ্রিয়

পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দুধের বাজারে ঘোষদের সিন্ডিকেট: কম দামে দুধ বিক্রি করে ক্ষতিতে খামারিরা

প্রকাশের সময় : ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

এম.এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় দুধের বাজারে একটি প্রভাবশালী ঘোষ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না স্থানীয় দুধ উৎপাদনকারী খামারিরা—এমন অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন খামারিদের কাছ থেকে। পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে যেখানে প্রতি লিটার দুধ ৫৫–৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সেখানে শেরপুরে দীর্ঘদিন ধরে প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩৭–৪৫ টাকায়। ফলে লোকসানের বোঝা বইতে হচ্ছে ছোট ও মাঝারি খামারিদের।

‎খামারিদের অভিযোগ, স্থানীয় ঘোষদের একটি সংগঠিত চক্র দুধ সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা যে দাম নির্ধারণ করে, তার বাইরে দুধ বিক্রি করা যায় না। উৎপাদন খরচ দিনদিন বাড়লেও দুধের দাম বাড়ছে না; বরং কম দামে দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন সবাই।

‎এক খামারি বলেন, “গাভী লালন-পালনের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। খাবার, ওষুধ, চিকিৎসা—সবকিছুর দাম এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু ঘোষরা যে দাম দেয়, তা দিয়ে কোনোভাবেই টিকে থাকা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় অনেকে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন।”

‎এদিকে গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ভুসির দাম প্রায় ৫০ টাকা হলেও খামারিরা দুধ বিক্রি করছেন সর্বনিম্ন ৩৭ টাকায়। এতে গাভীর খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

‎এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিয়াজ কাজমীর বলেন, “খামারিরা দেশের প্রাণ। তারা যেন ক্ষতির মুখে না পড়েন, সে বিষয়ে প্রশাসনের সবার সচেতন থাকা প্রয়োজন। দুধের বাজারে যদি কোনো সিন্ডিকেট খামারিদের ক্ষতিগ্রস্ত করে, তবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বাজারে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।”

‎খামারিরা অবিলম্বে বাজারে প্রশাসনিক তদারকি, সিন্ডিকেট ভাঙা এবং ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দুধ উৎপাদন শিল্প বড় ধরনের ধসের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।