, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা কালীগঞ্জে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

সংযুক্ত কিষান মোর্চা ও ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের ডাকে–শ্রমিক – কৃষক সমাবেশ।

  • প্রকাশের সময় : ০৫:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ২২ পড়া হয়েছে

 

সমরেশ রায়  কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি:

আজ ২৬ শে নভেম্বর বুধবার, কলকাতা রানী রাসমণি রোডের সংযোগস্থলে, সকাল দশটায়, সংযুক্ত কিষান মোর্চা ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনসমূহ এবং শিল্পভিত্তিক ফেডারেশন গুলির ডাকে শ্রমিক ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেন। আজ একই সাথে বিভিন্ন জেলাতেও এই সমাবেশ শুরু হয়। এই সমাবেশে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের কয়েকশো ক্রমিক ও কৃষক উপস্থিত হন,

মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পরেশ পাল, স্টেট সেক্রেটারী পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভা।

অনাদি সাউ, জিএস, সি আই টি ইউ

কার্তিক পাল ,কনভেনর , স্টেট লিডার সংযুক্ত কৃষক মঞ্চ

গোপাল বিশ্বাস, সেক্রেটারী, এ আই কে কে এম এস।

অভীক সাহা ,ন্যাশনাল লিডার, সংযুক্ত কৃষাণ মঞ্চ

বাসুদেব বোস, এ আই সি সি টি ইউ

ফিরহাদ মোল্লা, সেন্ট্রাল সেক্রেটারী ও member অগ্রগামী কৃষক সভা
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়নের পদাধিকারীরা।

আজকের সমাবেশ থেকে যে দাবিগুলি তুলে ধরেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্ত নীতির ফলে, শ্রমিক ও কৃষকরা বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন, সেগুলি হল।

শ্রমিক কৃষকের প্রতি মোদী সরকারের প্রতারণামূলক নীতি বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ।

শ্রম কোড বাতিল করতে হবে।

একশ দিনের কাজ চালু করতে হবে।

কৃষকের ফসলের লাভজনক দাম সুনিশ্চিত করতে হবে।

শ্রমিকদের কোনোভাবেই ছাঁটাই করা যাবে না,

খেদমজুর ও শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে বেসরকারী করণ বন্ধ করতে হবে।

নয়া পেনশন আইন বাতিল করতে হবে।

এই সকল দাবিকে কেন্দ্র করেই, সারা দেশজুড়ে শ্রমিক ও কৃষক টেড ইউনিয়নগুলি প্রতিবাদে নেমেছেন,

তাহারা বলেন কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে একের পর এক আইন প্রণয়ন করে, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনছেন, যারা আমাদের কারিগর , যাহারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিনরাত্রি পরিশ্রম করে লভ্যাংশ এনে দিচ্ছেন, তাদের পাশে না থেকে কিভাবে কলকারখানা থেকে শ্রমিকরা ছাটাই হবে তার ব্যবস্থা করছেন। ২৯ টি শ্রম কোড বাতিল করে, এমন চারটি শ্রম কোড আইন চালু করেছেন, যেখানে কল কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের স্থায়ী না করে, তাদেরকে নিজেদের ইচ্ছামত ছাঁটাই করতে পারবেন, কৃষকরা ফসলের লাভ পাচ্ছে না, যাহার ফলে কৃষকরা আজ বিপদের সম্মুখীন, অনেকে দেনাই জর্জরিত, অনেক চাষী আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন, দিনে দিনে দেশে বেকারত্ব বাড়ছে, শ্রমিকের অভাবে কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আর কেন্দ্রীয় সরকার একটার পর একটা কলকারখানা বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। আদানি আম্বানিদের হাতে, এদেশ থেকে ছেলেমেয়েরা পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে দুটো পয়সা ইনকামের জন্য, আর কেন্দ্রীয় সরকার সেই সকল পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর জঘন্যতম নির্যাতন চালাচ্ছেন এস আই আর এর নামে।, তাদেরকে বিদেশি বলে কখনো থানায় বন্দি করে রাখছে , আবার কাউকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাই আমরা এই সকল দাবি নিয়ে আজকের এই সমাবেশ, যদি কেন্দ্রীয় সরকার মেনে না নেন তবে আমরা কিভাবে দাবি আদায় করব আমাদের জানা আছে। দরকার পড়লে আবার দিল্লি অবরোধ করবো।, দিল্লিতে গিয়ে ধরনা দেব, তবুও কল কারখানা আদানি আম্বানিদের হাতে তুলে দিতে দেবোনা। এবং কলকারখানা থেকে একটি শ্রমিককেও ছাঁটাই করতে দেব না।

জনপ্রিয়

পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সংযুক্ত কিষান মোর্চা ও ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের ডাকে–শ্রমিক – কৃষক সমাবেশ।

প্রকাশের সময় : ০৫:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

 

সমরেশ রায়  কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি:

আজ ২৬ শে নভেম্বর বুধবার, কলকাতা রানী রাসমণি রোডের সংযোগস্থলে, সকাল দশটায়, সংযুক্ত কিষান মোর্চা ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনসমূহ এবং শিল্পভিত্তিক ফেডারেশন গুলির ডাকে শ্রমিক ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেন। আজ একই সাথে বিভিন্ন জেলাতেও এই সমাবেশ শুরু হয়। এই সমাবেশে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের কয়েকশো ক্রমিক ও কৃষক উপস্থিত হন,

মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পরেশ পাল, স্টেট সেক্রেটারী পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভা।

অনাদি সাউ, জিএস, সি আই টি ইউ

কার্তিক পাল ,কনভেনর , স্টেট লিডার সংযুক্ত কৃষক মঞ্চ

গোপাল বিশ্বাস, সেক্রেটারী, এ আই কে কে এম এস।

অভীক সাহা ,ন্যাশনাল লিডার, সংযুক্ত কৃষাণ মঞ্চ

বাসুদেব বোস, এ আই সি সি টি ইউ

ফিরহাদ মোল্লা, সেন্ট্রাল সেক্রেটারী ও member অগ্রগামী কৃষক সভা
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়নের পদাধিকারীরা।

আজকের সমাবেশ থেকে যে দাবিগুলি তুলে ধরেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্ত নীতির ফলে, শ্রমিক ও কৃষকরা বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন, সেগুলি হল।

শ্রমিক কৃষকের প্রতি মোদী সরকারের প্রতারণামূলক নীতি বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ।

শ্রম কোড বাতিল করতে হবে।

একশ দিনের কাজ চালু করতে হবে।

কৃষকের ফসলের লাভজনক দাম সুনিশ্চিত করতে হবে।

শ্রমিকদের কোনোভাবেই ছাঁটাই করা যাবে না,

খেদমজুর ও শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে বেসরকারী করণ বন্ধ করতে হবে।

নয়া পেনশন আইন বাতিল করতে হবে।

এই সকল দাবিকে কেন্দ্র করেই, সারা দেশজুড়ে শ্রমিক ও কৃষক টেড ইউনিয়নগুলি প্রতিবাদে নেমেছেন,

তাহারা বলেন কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে একের পর এক আইন প্রণয়ন করে, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনছেন, যারা আমাদের কারিগর , যাহারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিনরাত্রি পরিশ্রম করে লভ্যাংশ এনে দিচ্ছেন, তাদের পাশে না থেকে কিভাবে কলকারখানা থেকে শ্রমিকরা ছাটাই হবে তার ব্যবস্থা করছেন। ২৯ টি শ্রম কোড বাতিল করে, এমন চারটি শ্রম কোড আইন চালু করেছেন, যেখানে কল কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের স্থায়ী না করে, তাদেরকে নিজেদের ইচ্ছামত ছাঁটাই করতে পারবেন, কৃষকরা ফসলের লাভ পাচ্ছে না, যাহার ফলে কৃষকরা আজ বিপদের সম্মুখীন, অনেকে দেনাই জর্জরিত, অনেক চাষী আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন, দিনে দিনে দেশে বেকারত্ব বাড়ছে, শ্রমিকের অভাবে কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আর কেন্দ্রীয় সরকার একটার পর একটা কলকারখানা বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। আদানি আম্বানিদের হাতে, এদেশ থেকে ছেলেমেয়েরা পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে দুটো পয়সা ইনকামের জন্য, আর কেন্দ্রীয় সরকার সেই সকল পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর জঘন্যতম নির্যাতন চালাচ্ছেন এস আই আর এর নামে।, তাদেরকে বিদেশি বলে কখনো থানায় বন্দি করে রাখছে , আবার কাউকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাই আমরা এই সকল দাবি নিয়ে আজকের এই সমাবেশ, যদি কেন্দ্রীয় সরকার মেনে না নেন তবে আমরা কিভাবে দাবি আদায় করব আমাদের জানা আছে। দরকার পড়লে আবার দিল্লি অবরোধ করবো।, দিল্লিতে গিয়ে ধরনা দেব, তবুও কল কারখানা আদানি আম্বানিদের হাতে তুলে দিতে দেবোনা। এবং কলকারখানা থেকে একটি শ্রমিককেও ছাঁটাই করতে দেব না।