মোঃ সুজন আহম্মেদ বিশেষ প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সরকারি রাস্তা কেটে পুকুর তৈরির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে শতাধিক নারী–পুরুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, গ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে ও বিএনপি নেতা আলম হোসেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, ফজলুল হক, আমির চাঁদ, ফরহাদ, হামিদ, জয়দর, মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে সাইফুল হোসেন এবং মো. এনছাপ আলীর ছেলে আনিচুর রহমানসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি রাস্তা খনন করে পুকুর তৈরি করেছেন। শুধু রাস্তা কেটে পুকুরই নয়, অভিযোগ রয়েছে রাস্তার পাশ থেকে তারা একাধিক বিভিন্ন ফলজ গাছও কেটে নিয়ে গেছে, যা গ্রামবাসীর ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে।
এ ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের চলাচল সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে গ্রামবাসীদের বিপদে পড়তে হচ্ছে।
এলাকাবাসীরা জানান, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, চলতি বছর অভিযুক্তরা আবারও রাস্তার আরও অংশ থেকে মাটি কেটে পুকুরটি গভীর করার চেষ্টা করছেন।
মানববন্ধনে গ্রামবাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, “এটি আমাদের গ্রামের মূল রাস্তা। এখন রাস্তা কেটে পুকুর করায় সবাই বিপাকে পড়েছি। উপরন্তু রাস্তার পাশের ফলজ গাছগুলো কেটে নেওয়ায় গ্রামের মানুষের আরও ক্ষতি হয়েছে।”
মানববন্ধনে অংশ নেয়া আফছার আলী বলেন, রাস্তা বন্ধ থাকায় রোগী পরিবহন থেকে শুরু করে দৈনন্দিন যাতায়াত সবই বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা দ্রুত এর প্রতিকার চাই।
মোছা. সাথী খাতুন বলেন, আমরা বারবার অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। নারীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছি। রাস্তার গাছগুলো কেটে নেওয়ায় পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের একজন আলম হোসেন। তিনি তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “রাস্তা কেটে পুকুর করেছি ঠিক, তবে পুকুরের পাশে যাতায়াতের জন্য বিকল্প পথ করে দিয়েছি।”
অভিযোগ প্রাপ্তি স্বীকার করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, উভয় পক্ষের সাথেই কথা বলে ১৫ দিনের মধ্যে রাস্তা পূর্বের ন্যায় করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ১৫ দিন পার হলেও রাস্তা না করায় ইউনিয়ন ভূমিকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছ।