
সুলতান আহম্মেদ (সাঘাটা) গাইবান্ধা প্রাতিনিধিঃ গাইবান্ধা সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার জনপ্রিয় নেতা সফিকুল ইসলাম টিপু (টিপু মন্ডল) মানবিক আহ্বান বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া শুধু তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বা একটি বড় রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সন নন—তিনি এক দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসের সাক্ষী। দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন, ভোটাধিকার রক্ষা, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ এই রাষ্ট্রনায়কের দ্রুত আরোগ্য কামনায় এবার গাইবান্ধা–৫ (সাঘাটা–ফুলছড়ি) জনপ্রিয় নেতা সফিকুল ইসলাম টিপু (টিপু মন্ডল) দেশবাসীর কাছে বিশেষ দোয়া কামনা করেছেন। রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিশদ বিবৃতিতে তিনি জাতির উদ্দেশে বলেন—
“বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অগ্নিশিখা। তার সুস্থতা এখন গোটা জাতির প্রত্যাশা। তিনি শুধু একটি দলের নেত্রী নন—তিনি জাতীয় সম্পদ।”
রাজনীতির ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়ার অবদান ব্যাখ্যা টিপুর
সফিকুল ইসলাম টিপু তার বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদানকে তুলে ধরে বলেন—
“বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন সংকটময় সময় খুব কম এসেছে, যখন একজন নেত্রীর দৃঢ়তা, রাজনৈতিক সচেতনতা ও দূরদর্শিতার উপর দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করেছে। বেগম খালেদা জিয়া বারবার সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন,
“শুধু ক্ষমতায় থাকা নয়—গণতন্ত্রের অপসারিত মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়ানো, মানুষের অধিকার রক্ষায় আপসহীন থাকা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শক্ত অবস্থান নেওয়া—এসবই তাকে একটি অনন্য চরিত্রে উপস্থাপন করেছে।”
অসুস্থতার মধ্যেও রাজনীতির প্রতি দৃঢ়তা—‘এটাই আমাদের অনুপ্রেরণা’
বহু বছর ধরে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগের মধ্যে টিপু বলেন—
“যখন একজন মানুষ গুরুতর অসুস্থ, তখন সাধারণত তার মনোবল দুর্বল হয়ে যায়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া এর ব্যতিক্রম। শারীরিক দুর্বলতার মাঝেও দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের বিষয়ে তিনি দৃঢ়চেতা। তার রাজনীতির প্রতি দায়বদ্ধতা আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে এক অমর উদাহরণ।”
গাইবান্ধা–৫ আসনের রাজনীতিতে টিপু—এক বিশ্বাসের নাম
গাইবান্ধা–৫ (সাঘাটা–ফুলছড়ি) এলাকার রাজনীতিতে সফিকুল ইসলাম টিপু দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত মুখ। আশির দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন তুখোড় ছাত্রনেতা, ডাকসুর এফ রহমান হলের নির্বাচিত ভিপি।
সেই সময়ের সাংগঠনিক দক্ষতা, সাহসী নেতৃত্ব ও গণতান্ত্রিক চেতনার কারণে তিনি আজও সম্মানিত।
বিবৃতিতে তিনি বলেন—
“সাঘাটা–ফুলছড়ির মানুষ সবসময় ন্যায়, মানবতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে। তাই আমি বিশেষভাবে এই অঞ্চলের প্রতিটি মানুষকে অনুরোধ করছি, খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া করুন। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সম্মিলিত প্রার্থনায় আল্লাহ রহম করবেন।”
দেশের রাজনীতিতে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত
টিপু বিশ্বাস করেন, বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখলে দেশের রাজনীতিতে শান্তি, সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত হবে।
তিনি বলেন—
“বাংলাদেশ আজ রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল সময় অতিক্রম করছে। এমন সময়ে একজন অভিজ্ঞ, দূরদর্শী রাষ্ট্রনেতার প্রয়োজন। খালেদা জিয়ার সুস্থতা সেই শূন্যতা পূরণ করতে পারে। তার উপস্থিতি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সামঞ্জস্য বয়ে আনবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”
রাজনীতি ছাড়িয়ে মানবিক আহ্বান
দলমত নির্বিশেষে সবাইকে উদ্দেশ করে সফিকুল ইসলাম টিপু বলেন—
“একজন মানুষ অসুস্থ হলে রাজনীতিকে পাশে রেখে মানবিকতা জায়গা করে নেয়। আজ আমরা সেই মানবিকতার জায়গা থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করছি। যারা তাকে ভালোবাসেন, সম্মান করেন, কিংবা শুধুই একজন মানুষ হিসেবে বিবেচনা করেন—সবাই তার জন্য দোয়া করুন।”
তিনি আরও বলেন—
“একজন দেশের নেত্রী অসুস্থ, তাই তার স্বাস্থ্যবিষয়ক উদ্বেগ আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। আমরা কেউই এর বাইরে থাকতে পারি না।”
দেশবাসীর কাছে শেষ আহ্বান
বিবৃতির শেষ অংশে সফিকুল ইসলাম টিপু দেশবাসীর প্রতি আর্জি জানিয়ে বলেন। “যে যেখানে আছেন—নামাজের পর, দোয়ার পর, নফলের সময় বা ঘরেই বসে—একবার হলেও বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করবেন। আপনার একটি দোয়া তাকে সুস্থ হওয়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।” তিনি আরও যোগ করেন “আমি ব্যক্তিগতভাবে, রাজনৈতিকভাবে এবং মানবিকভাবে দেশবাসীর একাত্মতা কামনা করছি। আসুন, নেত্রীর সুস্থতার জন্য সবাই মিলেমিশে দোয়া করি।



















