
লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাহিরুল ইসলামের মুখোশ উম্মোচন ভাইরাল হয়েছে।
২৬ নভেম্বর থেকে সুপ্ তো নামের ফেসবুক আইডিতে “ধর্ষনকারী ভন্ড মো: মাহিরুল ইসলামের মুখোশ উম্মোচন” শিরোনামে ভেসে বেড়াচ্ছে।
সুপ্ তো নামের ওই আইডিতে বলা হয়, লালমনিরহাটের তিস্তা ফাতেমাতুজ্জহরা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো: মাহিরুল ইসলাম (মুহাদ্দিস) থাকাকালীন ২০০৮ সালে ফাতেমাতুজ্জহরা মসজিদের মুয়াজ্জিনের বোনের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লে উত্তেজিত জনতা ও এলাকাবাসী তাকে গণপিঠুনি দেয়। এ ঘটনায় উক্ত মাদ্রাসার সুপার আলহাজ্জ মাওলানা মো: মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির মিটিংঙ্গে তাকে বহিস্কার করা হয়।
এরপর সহকারী সুপার মাহিরুল ইসলাম পালিয়ে জয়পুরহাটে আশ্রয় নেয়। সেখানকার একটি ফাজিল মাদ্রাসায় আরবি প্রভাষক পদে চাকরিতে যোগদান করে প্রায় ৮ বছর কর্মরত থাকেন। এরপর আওয়ামীলীগ সেজে তার স্ত্রীর দু:সম্পর্কের দাদা এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের মাধ্যমে লালমনিরহাট নেছারিয়া কামিল মাদ্রসায় মুহাদ্দিস পদে চাকরী নেন। কিন্তু ওই সময়ে কোন মুহাদ্দিস পদ পোষ্ট ফাঁকা ছিল না।
মাহিরুল ইসলাম উক্ত পদে চাকরীতে যোগদানের আগে মুহাদ্দিস পদে পেপারিং করে মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক কে মুহাদ্দিস পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তুু তা তোয়াক্কা না করে আওয়ামীলীগের ক্ষমতা বলে মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের মুহাদ্দিস পদের নিয়োগ পত্র ডিঙ্গিয়ে মো: মাহিরুল ইসলামকে মুহাদ্দিস পদে পুনরায় নিয়োগ দেয়া হয়। যা বিধি বর্হিভুত।
উক্ত শিক্ষকের ষড়যন্ত্রের শিকার মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধেও আন্দোলন করান ছাত্র সমাজকো। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, প্রবীন
শিক্ষকগনকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা ও জিম্মি করার অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে।
ওই আইডিতে আরো বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অপসারণ করার জন্য তার বিভিন্ন দোষক্রটি অনুসন্ধান করত: বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ করেছে। তাকে অপসারণ করে উক্ত ভারপ্রাপ্ত পদে নিজে আসীন হতে চান। তাই গত ৫ই আগষ্ট এরপর নব্য জামাত সেজে তিনি আরো দুই একজন শিক্ষককে সাথে নিয়ে তার অপকর্ম আবার শুরু করেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মো: রফিকুল ইসলামকে বিভিন্ন প্রকার বাঁধা ভয়ভীতি দেখিয়ে ও জিম্মি করে সহকারী অধ্যাপক মো: মাহবুবুল ইসলাম মন্ডলের আপন ভায়রা মো: দুলাল হককে সভাপতি এবং নিজেরাই ভোট ছাড়া শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনয়ন করে গভর্নিং বডি অনুমোদন করার পায়তারা করছেন।
ফলে সকল শিক্ষক তিন মাস ধরে সরকারী বেতন বিল উত্তোলন করতে পারছেন না। এতে সাধারণ শিক্ষকদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
লালমনিরহাট নেছারিয়া কামিল মাদ্রসার মুহাদ্দিস মো: মাহিরুল ইসলাম বলেন, এসব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র। আমার বিরুদ্ধে একটি ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ওই আইডির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন কি না এমন প্রশ্নে উত্তরে তিনি কিছুই বলতে পারেনি।
ফাতেমাতুজ্জহরা মাদ্রাসার সুপার আলহাজ্জ মাওলানা মো: মুজিবুর রহমানও ২০০৮ সালে ওই মাদ্রাসার সহকারী সুপার মাহিরুল ইসলামের নারী কেলেংকারীর ঘটনায় গভর্ণিং বডির মিটিংঙ্গে বহিস্কারের কথা স্বীকার করেন।
এ বিষয় লালমনিরহাট নেছারিয়া কামিল মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মো: রফিকুল ইসলাম মুহাদ্দিস মাহিরুল ইসলাম বিরুদ্ধে ফেসবুকে যা লেখালেখি হচ্ছে তার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : 
























