
জাহাঙ্গীর আলম , ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে এক যুবক গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আহত যুবককে স্থানীয়রা প্রথমে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন, পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুমিল্লা এবং ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
আহত যুবক মো. জালাল ওরফে রাব্বি (প্রায় ২১–২৩ বছর), শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামের মাইক্রোবাস/রিকশাচালক হেলাল মিয়ার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে একটি মধ্যস্থতা সভা (বিচার-সালিশ) চলছিল এবং সেই সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে তিনি লক্ষ্যবস্তু হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিন রাউন্ড গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এক প্রত্যক্ষদর্শী মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, “রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম, হঠাৎ তিন রাউন্ড গুলির শব্দ শুনলাম। বের হয়ে দেখি এক যুবক পিস্তল হাতে দ্রুত পালাচ্ছে। আহত যুবককে সবাই মিলে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন, যুবকের বুকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণে তার অবস্থা গুরুতর। পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনার পেছনে পূর্ব বিরোধ এবং স্থানীয় বখাটে দলের উত্তেজনা প্রভাবিত হয়েছে।
পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নবীনগর সার্কেল ওসি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই থেকে তিন রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাহ মো. আব্দুর রউফ বলেন, “জড়িতদের শনাক্ত ও ঘটনার বিস্তারিত উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা মনে করছেন, সম্প্রতি নবীনগরে ধারাবাহিকভাবে ঘটমান এমন ঘটনা এলাকায় অস্থিরতা বৃদ্ধি করছে। স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
পুলিশ ঘটনার বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে এবং জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেছে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে।



















