, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে তিন ঘন্টার বাজারে বিক্রি হয় কোটি টাকার মাছ নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি বগুড়া নন্দীগ্রামে ৭০গ্রাম হেরোইনসহ আটক তিন বগুড়া ধুনটে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ বগুড়া ধুনটে ইছামতি নদী থেকে নবজাতক শিশুর লাশ উদ্ধার তৃর্ণমুল পর্য়ায়ে মহিলা দলের কার্য়ক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে হবে—-রেজাউল করিম বাদশা লালমনিরহাটে ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি লালমনিরহাটে ‎একই দিনে, সরকারি দুই প্রতিষ্ঠানে মিলল দুইজনের ঝুলন্ত লাশ ‎লালমনিরহাটের খাতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা মাদকসেবী ও চোর চক্রের ভয়াল ছোবলে অতিষ্ঠ বগুড়া ধুনটে আগুনে পুড়ে ছাই কৃষকের বসতবাড়ি

গাজীপুরে ৮৪ দিনে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের বালক আবু বকর

মাত্র ৮৪ দিনে পবিত্র কোরআনুল কারীমের হিফজ (মুখস্থ) সম্পন্ন করেছেন ১০ বছর বয়সী বিস্ময়কর বালক আবু বকর। তিনি রাজধানী ঢাকার ৩০০ ফিট আল ইন্তিফাদাহ ইনস্টিটিউট, ইংলিশ ভার্সন স্কুল এন্ড হিফয মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। হিফজুল কোরআন বিভাগের বিস্ময়কর এ প্রখর মেধাবী ছাত্রটি পাবনা জেলার, সুজানগর থানা,বোনতোলা গ্রামের ওবায়দুল্লাহ এর ছেলে।

হাফেজ আবু বকরের শিক্ষক বলেন, ‘মহাগ্রন্থ আল কোরআনের অলৌকিক মোজেজায় এমন ঘটনা বিশ্বে প্রায় ঘটছে। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের শিক্ষার্থী আবু বকর মাত্র ৮৪ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করেছেন। আমরা তার সাফল্য কামনা করি। তবে বিষয়টি মোটেও সহজ নয়। বরং এর পেছনে শিক্ষক থেকে শুরু করে বাবা মায়ের অনেক চেষ্টা শ্রম ও আত্মত্যাগের প্রয়োজন। একজন কোরআনে হাফেজ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়।

আল্লাহ এ শিশুকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন।’ হাফেজ আবু বকরের শিক্ষক আরও বলেন, আবু বকর শুরুতে দুই পৃষ্ঠা করে সবক দিলেও শেষের দিকে দিনে ১০ পৃষ্ঠা করে সবক দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ।’ আল ইন্তিফাদাহ ইনস্টিটিউট, ইংলিশ ভার্সন স্কুল এন্ড হিফয মাদরাসার প্রিন্সিপাল আশরাফুল ইসলাম বলেন এমন অনেক বাচ্চা আমাদের এখানে আছে। তারা দ্বীন ও ইসলাম শিক্ষা অর্জন করছে। বাচ্চারা কোরআনে হাফেজ হচ্ছে, পাশাপাশি স্কুলের পড়াও চালিয়ে যাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ মাদ্রাসার শিক্ষা এখন আধুনিকই নয়, অত্যাধুনিক। আমি চাই আমাদের সন্তানদের আমরা দ্বীনের শিক্ষা দেব।

পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত করব। আমরা অনেক বছর ধরে শত শত বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা নাঈম তানভীর বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ক্লাস প্রি-প্লে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত। প্রত্যেক মাসে মূল্যায়ন পরীক্ষা ও ইন্টারভিউর মাধ্যমে প্রতিটি বাচ্চাকে কাউন্সিলিং করা হয়। পরে তাকে পরবর্তী সেশনে উত্তীর্ণ করা হয়।

এভাবে প্রত্যেকটি বাচ্চাকে আমরা টার্গেট ফিক্সড করে পড়াশোনা করাই। সেই অনুযায়ী আবু বকর আন্তরিকতার সঙ্গে পরিশ্রম করেছেন এবং শিক্ষক সর্বস্ব ব্যয় করে তাকে যোগ্য করে গড়ে তুলেছেন। আমাদের প্রতিটি ছাত্রকে এভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠদান দিয়ে থাকি। আবু বকরের বাবা ওবায়দুল্লাহ ও তার মা আসমা আক্তার , তাদের ছোট্ট সন্তান একসময় বড় আলেম হবে এবং বিশ্বব্যাপী ইসলামের খেদমত করবেন।

জনপ্রিয়

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে তিন ঘন্টার বাজারে বিক্রি হয় কোটি টাকার মাছ

গাজীপুরে ৮৪ দিনে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের বালক আবু বকর

প্রকাশের সময় : ০২:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

মাত্র ৮৪ দিনে পবিত্র কোরআনুল কারীমের হিফজ (মুখস্থ) সম্পন্ন করেছেন ১০ বছর বয়সী বিস্ময়কর বালক আবু বকর। তিনি রাজধানী ঢাকার ৩০০ ফিট আল ইন্তিফাদাহ ইনস্টিটিউট, ইংলিশ ভার্সন স্কুল এন্ড হিফয মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। হিফজুল কোরআন বিভাগের বিস্ময়কর এ প্রখর মেধাবী ছাত্রটি পাবনা জেলার, সুজানগর থানা,বোনতোলা গ্রামের ওবায়দুল্লাহ এর ছেলে।

হাফেজ আবু বকরের শিক্ষক বলেন, ‘মহাগ্রন্থ আল কোরআনের অলৌকিক মোজেজায় এমন ঘটনা বিশ্বে প্রায় ঘটছে। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের শিক্ষার্থী আবু বকর মাত্র ৮৪ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করেছেন। আমরা তার সাফল্য কামনা করি। তবে বিষয়টি মোটেও সহজ নয়। বরং এর পেছনে শিক্ষক থেকে শুরু করে বাবা মায়ের অনেক চেষ্টা শ্রম ও আত্মত্যাগের প্রয়োজন। একজন কোরআনে হাফেজ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়।

আল্লাহ এ শিশুকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন।’ হাফেজ আবু বকরের শিক্ষক আরও বলেন, আবু বকর শুরুতে দুই পৃষ্ঠা করে সবক দিলেও শেষের দিকে দিনে ১০ পৃষ্ঠা করে সবক দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ।’ আল ইন্তিফাদাহ ইনস্টিটিউট, ইংলিশ ভার্সন স্কুল এন্ড হিফয মাদরাসার প্রিন্সিপাল আশরাফুল ইসলাম বলেন এমন অনেক বাচ্চা আমাদের এখানে আছে। তারা দ্বীন ও ইসলাম শিক্ষা অর্জন করছে। বাচ্চারা কোরআনে হাফেজ হচ্ছে, পাশাপাশি স্কুলের পড়াও চালিয়ে যাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ মাদ্রাসার শিক্ষা এখন আধুনিকই নয়, অত্যাধুনিক। আমি চাই আমাদের সন্তানদের আমরা দ্বীনের শিক্ষা দেব।

পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত করব। আমরা অনেক বছর ধরে শত শত বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা নাঈম তানভীর বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ক্লাস প্রি-প্লে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত। প্রত্যেক মাসে মূল্যায়ন পরীক্ষা ও ইন্টারভিউর মাধ্যমে প্রতিটি বাচ্চাকে কাউন্সিলিং করা হয়। পরে তাকে পরবর্তী সেশনে উত্তীর্ণ করা হয়।

এভাবে প্রত্যেকটি বাচ্চাকে আমরা টার্গেট ফিক্সড করে পড়াশোনা করাই। সেই অনুযায়ী আবু বকর আন্তরিকতার সঙ্গে পরিশ্রম করেছেন এবং শিক্ষক সর্বস্ব ব্যয় করে তাকে যোগ্য করে গড়ে তুলেছেন। আমাদের প্রতিটি ছাত্রকে এভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠদান দিয়ে থাকি। আবু বকরের বাবা ওবায়দুল্লাহ ও তার মা আসমা আক্তার , তাদের ছোট্ট সন্তান একসময় বড় আলেম হবে এবং বিশ্বব্যাপী ইসলামের খেদমত করবেন।