, বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কলাপাড়া পৌর ওলামা দলের কর্মী সভা নেশার টাকা না শশুর বাড়িতে আগুন ‎লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ভুয়া ডাক্তারকে তিন মাসের কারাদণ্ড বগুড়া শহরের কুখ্যাত হাড্ডিপট্টির ‘আলিফ আইরোন’ থেকে চোরাই মাল উদ্ধার — গ্রেপ্তার ২ ‎ বগুড়া শেরপুরে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ছাত্রীসংস্থার মানববন্ধন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে এক উদীয়মান নেতৃত্ব দিতে চান — প্রভাষক আতাউর রহমান ধুনটে ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে সিম বিক্রেতা নিহত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ডিমলায় নেসকো অফিস ঘেরাও করে লালমনিরহাটে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিক্ষোভ কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান, টিএস ও বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মে অভিযুক্ত বিভিন্ন অনিয়ম অভিযুক্ত

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ক্লাস চলছে খোলা আকাশের নিচে

ঝড়ে গাছ পরে পলাশবাড়ী উপজেলার কাশিয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের পাঁচ’টি ক্লাস রুম ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে। প্রবল ঝড়ে বিধ্বস্ত পলাশবাড়ী উপজেলার কাশিয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজ। তাই খোলা আকাশের নিচেই পাঠদান চলছে কলেজের শিক্ষার্থীদের। অথচ আর মাত্র কয়েক দিন পরই প্রথম সাময়িক পরীক্ষা। এ অবস্থায় দ্রুত কলেজের রুমগুলো সংস্কারকাজ করা না হলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে পরীক্ষা কার্যক্রম। ১৮ মে রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গতরাতে ঝড়ে কলেজের পুরাতন টিনশেড ভবনের উপর থাকা ইউক্লিপটাস গাছ ভেঙে পড়লে কলেজের পাঁচটি রুম ভেঙে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ফলে রুমগুলোতে পাঠদানের পরিবেশ না থাকায় ভবনের সামনের আঙিনায় সারি সারি বেঞ্চে বসে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করছে। একসঙ্গে দুটি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ায় হইচই শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করছে। শিক্ষকদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্লাস নিতে।

কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিখা আক্তার বলেন,ঝড়ে গাছপরে কলেজের রুমগুলো ভেঙে যাওয়ায় আমাদের লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। গাছের নিচে বসে ক্লাস করতেও ভালো লাগছে না।

একাদশ শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী নবিউল ইসলাম জানান,এখন বর্ষামাস বাইরে ক্লাস করতে খুবই কষ্ট হয়। কখন জানি বৃষ্টি আসে,আমাদের বই খাতা ভিজিয়ে যায়।
এক জায়গায় বসে দুই-তিনটা ক্লাস একসাথে নেওয়ার কারণে হৈ-হুল্লোড় বেশি। পড়াশোনা করা যায় না। আমরা চাই, আমাদের কলেজের রুমগুলো দ্রুত মেরামত করা হোক।

প্রভাষক নুর আলম প্রামানিক (পদার্থ বিজ্ঞান) জানান, খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়ার পরিবেশ থাকে না। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোযোগও নষ্ট হয়ে যায়। তাই কলেজের রুমগুলো দ্রুত মেরামতের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুব হাসান বলেন,২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কাশিয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজ। গত ১৭ মে রাতে প্রবল ঝড়ে স্কুলের ৫ টি টিনশেড ভবন বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ৭০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজের আঙিনায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় চরম বেঘাত ঘটছে। তিনি বলেন, সামনে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে অল্প সময়ের মধ্যে বিধ্বস্ত ভবনটি মেরামতের জন্য ব্যবস্থা না নিলে পরীক্ষা চালানো খুবই কঠিন হয়ে পড়বে।

কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক জানান, ঝড়ে গাছ পরে কলেজটির কয়েকটি রুম ভেঙে পড়ায় লেখাপড়ার চরম ক্ষতি হচ্ছে। ছেলে মেয়েরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে। কলেজের রুমগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাতে করে শিক্ষার পরিবেশ আগের মত দ্রুত ফিরিয়ে আসে।

জনপ্রিয়

কলাপাড়া পৌর ওলামা দলের কর্মী সভা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ক্লাস চলছে খোলা আকাশের নিচে

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

ঝড়ে গাছ পরে পলাশবাড়ী উপজেলার কাশিয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের পাঁচ’টি ক্লাস রুম ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে। প্রবল ঝড়ে বিধ্বস্ত পলাশবাড়ী উপজেলার কাশিয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজ। তাই খোলা আকাশের নিচেই পাঠদান চলছে কলেজের শিক্ষার্থীদের। অথচ আর মাত্র কয়েক দিন পরই প্রথম সাময়িক পরীক্ষা। এ অবস্থায় দ্রুত কলেজের রুমগুলো সংস্কারকাজ করা না হলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে পরীক্ষা কার্যক্রম। ১৮ মে রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গতরাতে ঝড়ে কলেজের পুরাতন টিনশেড ভবনের উপর থাকা ইউক্লিপটাস গাছ ভেঙে পড়লে কলেজের পাঁচটি রুম ভেঙে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ফলে রুমগুলোতে পাঠদানের পরিবেশ না থাকায় ভবনের সামনের আঙিনায় সারি সারি বেঞ্চে বসে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করছে। একসঙ্গে দুটি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ায় হইচই শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করছে। শিক্ষকদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্লাস নিতে।

কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিখা আক্তার বলেন,ঝড়ে গাছপরে কলেজের রুমগুলো ভেঙে যাওয়ায় আমাদের লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। গাছের নিচে বসে ক্লাস করতেও ভালো লাগছে না।

একাদশ শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী নবিউল ইসলাম জানান,এখন বর্ষামাস বাইরে ক্লাস করতে খুবই কষ্ট হয়। কখন জানি বৃষ্টি আসে,আমাদের বই খাতা ভিজিয়ে যায়।
এক জায়গায় বসে দুই-তিনটা ক্লাস একসাথে নেওয়ার কারণে হৈ-হুল্লোড় বেশি। পড়াশোনা করা যায় না। আমরা চাই, আমাদের কলেজের রুমগুলো দ্রুত মেরামত করা হোক।

প্রভাষক নুর আলম প্রামানিক (পদার্থ বিজ্ঞান) জানান, খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়ার পরিবেশ থাকে না। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোযোগও নষ্ট হয়ে যায়। তাই কলেজের রুমগুলো দ্রুত মেরামতের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুব হাসান বলেন,২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কাশিয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজ। গত ১৭ মে রাতে প্রবল ঝড়ে স্কুলের ৫ টি টিনশেড ভবন বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ৭০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজের আঙিনায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় চরম বেঘাত ঘটছে। তিনি বলেন, সামনে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে অল্প সময়ের মধ্যে বিধ্বস্ত ভবনটি মেরামতের জন্য ব্যবস্থা না নিলে পরীক্ষা চালানো খুবই কঠিন হয়ে পড়বে।

কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক জানান, ঝড়ে গাছ পরে কলেজটির কয়েকটি রুম ভেঙে পড়ায় লেখাপড়ার চরম ক্ষতি হচ্ছে। ছেলে মেয়েরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে। কলেজের রুমগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাতে করে শিক্ষার পরিবেশ আগের মত দ্রুত ফিরিয়ে আসে।