
খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট :
গত বছরের ৫ আগস্ট লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সাখোওয়াত হোসেন সুমন খানের বাড়ি থেকে ছয় শিক্ষার্থীর অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনার ৯ মাস পরে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সাখোওয়াত হোসেন সুমন খানকে প্রধান করে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের ৯ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মে) রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী আরমান আরিফ। যার মামলা নং-৫৯/৩০১,লালমনিরহাট সদর থানা তাং- ২৭/০৫/২০২৫।
মামলার বাদী,আরমান আরিফ লালমনিরহাট পৌরসভার খোদ্দসাপটানা নর্থবেঙ্গল মোড় এলাকার নুর ইসলামের ছেলে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন,প্রধান আসামি সুমন খানের নেতৃত্বে তার বহুতল বাড়িতে ছয় নিহত শিক্ষার্থীদের আটকে রেখে অপকৌশলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে তাঁরা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনার এক দিন পরে সেনাসদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ওই বাসা থেকে ছয় শিক্ষার্থীর পোড়া লাশ উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার রাতে লালমনিরহাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবু জায়েদ ভুট্টুসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন এই মামলার প্রধান আসামি সুমন খানসহ পাঁচজন। সব মিলে এই মামলায় ৯ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
ললমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুন্নবী বলেন, মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মামলায় ৯ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।