
বগুড়া সদরের শেখেরকোলা ইউনিয়নের প্যালেন চেয়ারম্যান ও প্রশাসন নিয়োগ নিয়ে সদস্যদের পাল্টা পাল্টি অভিযোগ।
ইউনিয়ন পরিষদে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে অনেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য পলাতক। কেউ কেউ হত্যা মামলার আসামি। কেউ গ্রেপ্তার এড়াতে, কেউ হামলা থেকে বাঁচতে আত্মগোপনে রয়েছেন। উপজেলার সূত্র মতে, চেয়ারম্যান পলাতক, এমন বেশ কিছু ইউপিতে প্যানেল চেয়ারম্যান বসানো হয়েছে। কোথাও কোথাও দেওয়া হয়েছে প্রশাসক। কিন্তু বগুড়া সদরের ৭নং শেখেরকোলা ইউনিয়নের জটিলতা ভিন্ন।
এখানে নির্বাচিত চেয়ারম্যান অন্যত্র মামলায় আইনি বিধি মোতাবেক পরিষদ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন না। অতঃপর নিয়মানুযায়ী ইউপি সদস্য মীর্জা হাকিমকে প্যালেন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্টের পর দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়। এরপর এ ইউনিয়ন পরিষদে প্যালেন চেয়ারম্যান হিসেবে মোঃ আব্দুল করিম নতুন সরকারকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্যালেন চেয়ারম্যান আব্দুল করিম নতুন সরকার এর মেয়াদকাল ১০ মাস অতিবাহিত হলেও বর্তমান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে প্রশাসক নিয়োগ বা প্যালেন (৩) এর নিয়োগ চেয়ে বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে উক্ত পরিষদের মহিলা সদস্য সহ ৩ ইউপি সদস্য লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, বর্তমান প্যালেন চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য লাভলী খাতুন প্যালেন-৩।
তারা ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত৷ জনসাধারণের অধিকার আদায় ও সকল কার্যক্রম সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে প্যালেন -৩ অথবা প্রশাসন নিয়োগের আবেদন করেন। এদিকে প্যালেন চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যরা বলেন, যারা অভিযোগ করেছেন তারা ৫ আগস্ট মামলার আসামী। তাদের মনগড়া করে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করতে চায়। আমরা তা হতে দেই না বলেই তারা তাদের প্যালেন-৩ বা প্রশাসক নিয়োগ চেয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে সোমবার। (০২ই মে) বেলা ১১টায়, ৭নং শেখেরকোলা ইউনিয়ন পরিষদ তদন্ত করেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র সরকার।
এদিকে অভিযোগকারী ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের মামলা এটি ভুয়া। শেখেরকোলা ইউনিয়ন পরিষদে প্যালেন-৩ বা প্রশাসাক নিয়োগ না দিলে এখানে জটিলতা বাড়তেই থাকবে। নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবে সাধারণ জনগণ।