, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
‎লালমনিরহাটে নতুন আঙ্গিকে নিউ আরামবাগ হোটেলের শুভ উদ্বোধন পঞ্চগড়ের বোদা বলরাম হাট বানিয়াপাড়ায় একটি লাশ উদ্ধার ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু কালিয়াকৈরে সেভয় কোম্পানির আইসক্রিম খেয়ে শিশু অসুস্থ কালিয়াকৈরে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু: এলাকায় উত্তেজনা কলাপাড়া পৌর ওলামা দলের কর্মী সভা নেশার টাকা না শশুর বাড়িতে আগুন ‎লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ভুয়া ডাক্তারকে তিন মাসের কারাদণ্ড বগুড়া শহরের কুখ্যাত হাড্ডিপট্টির ‘আলিফ আইরোন’ থেকে চোরাই মাল উদ্ধার — গ্রেপ্তার ২ ‎ বগুড়া শেরপুরে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ছাত্রীসংস্থার মানববন্ধন

কাজিপুরে কামারপাড়া মুখরিত টুং-টাং শব্দে

  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • ১৭০ পড়া হয়েছে

টি এম কামালঃ

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানির সরঞ্জাম জোগান দিতে কামার শিল্পীদের দোকানগুলো হাঁপর টানা আর লোহার ওপর টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন কামারপাড়া। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা ততই বেড়ে চলছে। দম ফেলারও ফুরসত নেই তাদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে অবিরাম কাজ করে চলছেন তারা। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মযজ্ঞ। কেউ ভারি হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরঙা লোহার দণ্ড। কেউ পোড়া দা ও ছুরিতে দিচ্ছেন শান। কেউবা হাঁপর টেনে বাতাস দিচ্ছেন লোহাকে পুড়িয়ে বিভিন্ন অবয়ব তৈরি করার জন্য। উপজেলার সোনামুখী, ঢেকুরিয়া, নাটুয়ারপাড়া, মেঘাই, আলমপুর, তেকানী, জজিরা, কুমারিয়াবাড়ি, শিমুলদাইড়, হরিনাথপুর, চালিতাডাঙ্গা, গান্ধাইল, সিমান্তবাজার ঘুরে দেখা যায়, দা, ছুরি, চাকু ও বঁটির বেচাকেনা বেড়েছে। তবে কারিগরদের অভিযাগ, তাদের পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম।জানা গেছে, এ বছর প্রতি পিস ছোট চাকু ২০০-২৫০ টাকা, বড় চাকু ৩০০-৪০০ টাকা, ছোট দা ৬০০-৮০০ টাকা, বড় দা ১২০০-২৫০০টাকা, বঁটি ৮০০-১২০০ টাকা, ৬০০ টাকা কেজি দরে চাপাতি, জবাই ছুরি ৮০০-১২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। এ ছাড়া পুরানো সব দা, ছেনী, ছুরি, বঁটি, চাকু, ধামা শান দিতে গুনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। সারা বছর তেমন কাজ না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে পৈতৃক এই পেশা পরিবর্তন করছেন বলে জানা গেছে।ঢেকুরিয়া বাজারে ইদ্রিস আলী (৬৫) ও আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) জানান, পূর্বপুরুষের পেশা ধরে এখানো টিকে আছি। আমাদের অনেকেই এই পেশা ত্যাগ করে অন্য পেশায় চলে গেছে। গত ঈদের তুলনায় এই ঈদের সময় এ বেচাবিক্রি কম। তবে আশা করি ভাড়বে। সোনামুখী বাজারে দা ছুরি দোকানদার জেল হোসেন ও রেজাউল করিম জানান, কোরবানি ঈদে তারা প্রতিবছর দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করেন। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। তাদের আশা, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। ক্রেতা আমজাদ হোসেন, হবিবার, ছামাদ,সেলিম রেজা, আবুল কালামসহ কয়েকজন বলেন, ঈদের আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছি। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বঁটির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা। ঢেকুরিয়া বাজারে ইদ্রিস আলী কামারে দেওয়া তথ্য মতে কাজিপুর উপজেলায় শতাধিক ব্যক্তি কামার শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছেন।

জনপ্রিয়

‎লালমনিরহাটে নতুন আঙ্গিকে নিউ আরামবাগ হোটেলের শুভ উদ্বোধন

কাজিপুরে কামারপাড়া মুখরিত টুং-টাং শব্দে

প্রকাশের সময় : ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

টি এম কামালঃ

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানির সরঞ্জাম জোগান দিতে কামার শিল্পীদের দোকানগুলো হাঁপর টানা আর লোহার ওপর টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন কামারপাড়া। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা ততই বেড়ে চলছে। দম ফেলারও ফুরসত নেই তাদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে অবিরাম কাজ করে চলছেন তারা। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মযজ্ঞ। কেউ ভারি হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরঙা লোহার দণ্ড। কেউ পোড়া দা ও ছুরিতে দিচ্ছেন শান। কেউবা হাঁপর টেনে বাতাস দিচ্ছেন লোহাকে পুড়িয়ে বিভিন্ন অবয়ব তৈরি করার জন্য। উপজেলার সোনামুখী, ঢেকুরিয়া, নাটুয়ারপাড়া, মেঘাই, আলমপুর, তেকানী, জজিরা, কুমারিয়াবাড়ি, শিমুলদাইড়, হরিনাথপুর, চালিতাডাঙ্গা, গান্ধাইল, সিমান্তবাজার ঘুরে দেখা যায়, দা, ছুরি, চাকু ও বঁটির বেচাকেনা বেড়েছে। তবে কারিগরদের অভিযাগ, তাদের পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম।জানা গেছে, এ বছর প্রতি পিস ছোট চাকু ২০০-২৫০ টাকা, বড় চাকু ৩০০-৪০০ টাকা, ছোট দা ৬০০-৮০০ টাকা, বড় দা ১২০০-২৫০০টাকা, বঁটি ৮০০-১২০০ টাকা, ৬০০ টাকা কেজি দরে চাপাতি, জবাই ছুরি ৮০০-১২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। এ ছাড়া পুরানো সব দা, ছেনী, ছুরি, বঁটি, চাকু, ধামা শান দিতে গুনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। সারা বছর তেমন কাজ না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে পৈতৃক এই পেশা পরিবর্তন করছেন বলে জানা গেছে।ঢেকুরিয়া বাজারে ইদ্রিস আলী (৬৫) ও আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) জানান, পূর্বপুরুষের পেশা ধরে এখানো টিকে আছি। আমাদের অনেকেই এই পেশা ত্যাগ করে অন্য পেশায় চলে গেছে। গত ঈদের তুলনায় এই ঈদের সময় এ বেচাবিক্রি কম। তবে আশা করি ভাড়বে। সোনামুখী বাজারে দা ছুরি দোকানদার জেল হোসেন ও রেজাউল করিম জানান, কোরবানি ঈদে তারা প্রতিবছর দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করেন। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। তাদের আশা, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। ক্রেতা আমজাদ হোসেন, হবিবার, ছামাদ,সেলিম রেজা, আবুল কালামসহ কয়েকজন বলেন, ঈদের আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছি। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বঁটির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা। ঢেকুরিয়া বাজারে ইদ্রিস আলী কামারে দেওয়া তথ্য মতে কাজিপুর উপজেলায় শতাধিক ব্যক্তি কামার শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছেন।