
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজে ভবন সম্প্রসারণ কাজে নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। শিক্ষকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকের তালা ভাঙা এমন কি তদারকি সংস্থার নির্দেশ অমান্য করার নজির আছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদারকি সংসর প্রতিনিধি। সবকিছু লেবাররা করেছে বলছেন ঠিকাদার। নিম্ন মানের সামগ্রীতে তৈরি ভবনে প্রাণনাশের হুমকি রয়েছে বলে জানান স্থানীয় অভিভাবকেরা। সরেজমিনে, শনিবার ৬ জুলাই উপজেলার গান্ধাইল আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজ ভবন সম্প্রসারণ কাজে নিম্ন মানের ইট, খোয়া ব্যবহারের প্রমাণ মেলে। এ সময় কলেজ অধ্যক্ষ আলী আশরাফ বলেন, গত বছরের নভেম্বরে নিম্ন মানের ইট এখানে সরবরাহ করা হয়, সে সময় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী উপস্থিত হয়ে খারাপ ইট অপসারণের নির্দেশ দেন, কিন্তু অদ্যাবধি ইট সরানো হয়নি, বরং বিভিন্ন সময়ে ভবনে ব্যবহার করা হয়েছে, এর আগে গত ২৭ জুলাই কলাম ঢালাই করার জন্য অত্যন্ত নিম্ন মানের দুই ট্রাক ইট নিয়ে আসে, যদিও এ কাজে ঝামা পিকেট ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে, সে সময় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী উপস্থিত থেকে ঐ ইট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেন। কিন্তু তারা নিষেধাজ্ঞা না শুনে আবার ২ ট্রাক ভালো খাবার মিশ্রিত ইট নিয়ে আসে। গত ৪ জুলাই শুক্রবার কলেজ বন্ধের দিনে তারা ইট ভাঙ্গার মেশিন নিয়ে এসে কাউকে না জানিয়ে কলেজের মূল ফটকের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। এছাড়া তারা ঐ মেশিন দিয়ে ভালো মন্দ সকল ইট খোয়া তৈরি করে। আজ মিক্সার মেশিন ছাড়াই কলাম ঢালাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।এ সময় অন্যান্য শিক্ষকগণ বিভিন্ন সময়ে নিম্ন মানের কাজের প্রতিবাদ করে অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন বলে জানান। তারা আরো জানান, ভবন সম্প্রসারণে ধীরগতিতে শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছে এবং শিক্ষাদান ব্যহত হচ্ছে।কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও অভিভাবক শহিদুল ইসলাম বলেন, নিম্ন আয়ের সামগ্ৰীতে তৈরি কলেজ ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, প্রাণ নাশের হুমকি রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সবুজ এন্টারপ্রাইজের মালিকানা পার্টনার আল আমিন সব অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন সব লেবাররা করেছে, আমরা জানিনা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাজিপুর উপজেলায় কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হুদা নাসিম বলেন, একাধিকবার বলার পরও ঠিকাদার সংশোধন হচ্ছে না, কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।উল্লেখ্য, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে গান্ধাইল আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজে একাডেমিক ভবন সম্প্রসারণের কাজ পায় সিরাজগঞ্জের সবুজ এন্টারপ্রাইজ, শুরু থেকেই তারা অপেশাদারের মতো নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে আসছিলো। এই প্রকল্পে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যায় ধরা হয়েছে।