, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা কালীগঞ্জে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি কমলেও ভোগান্তি কমেনি নদীপাড়ের মানুষের

 

এস.বি-সুজন,লালমনিরহাট প্রতিনিধি :

 

উজানে ভারি বৃষ্টি ও ভারতের উত্তর সিকিমের প্রাকৃতিক লেকে ফাটলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। তবে সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করলেও লালমনিরহাটের তীরবর্তী এলাকার মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়েছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের মাঠ ও পুকুর, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো পরিবার।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, সোমবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ৫২.৬ মিটার, যা বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচে। এর আগে রোববার সকাল ৬টায় পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে উঠেছিল। পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

 

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, ভারতের উজানে ভারি বর্ষণের কারণে রোববার রাতে পানি হঠাৎ বেড়ে যায়। ফলে লালমনিরহাটের তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার একাধিক এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। প্লাবিত এলাকার মধ্যে রয়েছে পাটগ্রামের দহগ্রাম; হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈলমারী, নোহালী; আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া এবং সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়ন।

 

হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি চরের বাসিন্দা সাজু ইসলাম বলেন, “রোববার থেকে পানি বাড়তে বাড়তে রাতে আমাদের ঘরে ঢুকে পড়েছে। গরু-ছাগল নিয়ে বিপদে আছি। কোনো জনপ্রতিনিধি বা সরকারি লোক খোঁজ নেয়নি। এর স্থায়ী সমাধান কি কখনো হবে না?”

 

কালীগঞ্জের চর ভোটমারী এলাকার আরিফুল ইসলাম জানান, “সারারাত পানি ঢুকেছে। রান্নাবান্না বন্ধ, বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। রাজনৈতিক নেতারা শুধু তালিকা নিচ্ছেন, কিন্তু ত্রাণ বা সহায়তা কিছুই দিচ্ছেন না।”

পাউবো লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুণীল কুমার বলেন, “রোববার তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। এখন পানি কমলেও নিম্নাঞ্চলে সতর্কতা জারি রয়েছে। আগামী দুই-তিন দিন এই পরিস্থিতি থাকতে পারে। তবে পানি আরও বাড়বে কি না, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।”

জনপ্রিয়

পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি কমলেও ভোগান্তি কমেনি নদীপাড়ের মানুষের

প্রকাশের সময় : ০১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫

 

এস.বি-সুজন,লালমনিরহাট প্রতিনিধি :

 

উজানে ভারি বৃষ্টি ও ভারতের উত্তর সিকিমের প্রাকৃতিক লেকে ফাটলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। তবে সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করলেও লালমনিরহাটের তীরবর্তী এলাকার মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়েছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের মাঠ ও পুকুর, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো পরিবার।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, সোমবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ৫২.৬ মিটার, যা বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচে। এর আগে রোববার সকাল ৬টায় পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে উঠেছিল। পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

 

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, ভারতের উজানে ভারি বর্ষণের কারণে রোববার রাতে পানি হঠাৎ বেড়ে যায়। ফলে লালমনিরহাটের তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার একাধিক এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। প্লাবিত এলাকার মধ্যে রয়েছে পাটগ্রামের দহগ্রাম; হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈলমারী, নোহালী; আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া এবং সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়ন।

 

হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি চরের বাসিন্দা সাজু ইসলাম বলেন, “রোববার থেকে পানি বাড়তে বাড়তে রাতে আমাদের ঘরে ঢুকে পড়েছে। গরু-ছাগল নিয়ে বিপদে আছি। কোনো জনপ্রতিনিধি বা সরকারি লোক খোঁজ নেয়নি। এর স্থায়ী সমাধান কি কখনো হবে না?”

 

কালীগঞ্জের চর ভোটমারী এলাকার আরিফুল ইসলাম জানান, “সারারাত পানি ঢুকেছে। রান্নাবান্না বন্ধ, বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। রাজনৈতিক নেতারা শুধু তালিকা নিচ্ছেন, কিন্তু ত্রাণ বা সহায়তা কিছুই দিচ্ছেন না।”

পাউবো লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুণীল কুমার বলেন, “রোববার তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। এখন পানি কমলেও নিম্নাঞ্চলে সতর্কতা জারি রয়েছে। আগামী দুই-তিন দিন এই পরিস্থিতি থাকতে পারে। তবে পানি আরও বাড়বে কি না, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।”