, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বগুড়া ধুনটে সেনাবাহিনীতে চাকুরির নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১ শেরপুরের সীমান্তে শিশুসহ ১০ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ ধুনটে ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচির উদ্বোধন করেন — ফজল -এ- খুদা তুহিন বগুড়া ধুনটে রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেয়ায় জনদুর্ভোগ বগুড়া শেরপুরে রাস্তার বেহাল দশায়, দুই গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে শীতলক্ষ্যা নদীতে অর্ধ গলিত লাশ দেখে থানায় খবর দিল এলাকার জনগণ বগুড়া শেরপুরে এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বগুড়া শাজাহানপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার বগুড়া শহর জামায়াত যুব বিভাগের কমিটি গঠন বগুড়া সদরে ইউকালিপ্টাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস করলেন ইউএনও

ধুনটে অনুমোদন ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক

  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • ১৬৯ পড়া হয়েছে

এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার ধুনটে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই বেড়েরবাড়ি উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে থাকা একটি বিশাল আকৃতির এন্ট্রি কড়াই গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে।গত শনিবার (২২ই মার্চ) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাছটি কেটে বিক্রি করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে দীর্ঘদিন আগে লাগানো গাছটির বর্তমান মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।জানা যায়,বিদ্যালয় ছুটি থাকার সুযোগে কাউকে না জানিয়ে, কোনো রকম সরকারি নীতিমালা না মেনে অসৎ উদ্দেশ্যে গোপনে বিদ্যালয় চত্বরে থাকা পুরাতন একটি বিশাল আকৃতির মূল্যবান এন্ট্রি কড়াই গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন দিলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা যাবে। কিন্তু সেসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিয়মবহির্ভূত ভাবে এ কাজ করছেন তিনি।প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক জানান, স্কুলের ছেলেপেলে পিকনিক করতে গাছের ডাল কেটেছে। আমি বিষয়টি অবগত হওয়ার পরে তাদের ডাল কাটতে নিষেধ করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, স্কুলের টয়লেটের ছাদে গাছটি দুলে পড়েছে। ছাদে উপরে গাছের পাতা পড়ে নোংরা হয়ে থাকে। স্কুলে অফিস সহকারী না থাকায় সেগুলো পরিষ্কার করতে কষ্ট হয়। তাই ছেলে পেলে গাছের ডাল কেটেছে। গাছ কাটার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজল্যুশন করা আছে। মৌখিক ভাবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ কোনো আবেদন করেনি। বিষয়টি আমার জানা নেই। কাউকে না জানিয়ে এভাবে কেউ গাছ কাটতে পারে না। এবিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি জানান।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সরকারি গাছ কেটে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। আমি শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলবো।

জনপ্রিয়

বগুড়া ধুনটে সেনাবাহিনীতে চাকুরির নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১

ধুনটে অনুমোদন ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক

প্রকাশের সময় : ০১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার ধুনটে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই বেড়েরবাড়ি উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে থাকা একটি বিশাল আকৃতির এন্ট্রি কড়াই গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে।গত শনিবার (২২ই মার্চ) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাছটি কেটে বিক্রি করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে দীর্ঘদিন আগে লাগানো গাছটির বর্তমান মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।জানা যায়,বিদ্যালয় ছুটি থাকার সুযোগে কাউকে না জানিয়ে, কোনো রকম সরকারি নীতিমালা না মেনে অসৎ উদ্দেশ্যে গোপনে বিদ্যালয় চত্বরে থাকা পুরাতন একটি বিশাল আকৃতির মূল্যবান এন্ট্রি কড়াই গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন দিলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা যাবে। কিন্তু সেসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিয়মবহির্ভূত ভাবে এ কাজ করছেন তিনি।প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক জানান, স্কুলের ছেলেপেলে পিকনিক করতে গাছের ডাল কেটেছে। আমি বিষয়টি অবগত হওয়ার পরে তাদের ডাল কাটতে নিষেধ করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, স্কুলের টয়লেটের ছাদে গাছটি দুলে পড়েছে। ছাদে উপরে গাছের পাতা পড়ে নোংরা হয়ে থাকে। স্কুলে অফিস সহকারী না থাকায় সেগুলো পরিষ্কার করতে কষ্ট হয়। তাই ছেলে পেলে গাছের ডাল কেটেছে। গাছ কাটার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজল্যুশন করা আছে। মৌখিক ভাবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ কোনো আবেদন করেনি। বিষয়টি আমার জানা নেই। কাউকে না জানিয়ে এভাবে কেউ গাছ কাটতে পারে না। এবিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি জানান।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সরকারি গাছ কেটে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। আমি শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলবো।