, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা কালীগঞ্জে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

ধুনটে অনুমোদন ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক

  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • ২০৩ পড়া হয়েছে

এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার ধুনটে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই বেড়েরবাড়ি উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে থাকা একটি বিশাল আকৃতির এন্ট্রি কড়াই গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে।গত শনিবার (২২ই মার্চ) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাছটি কেটে বিক্রি করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে দীর্ঘদিন আগে লাগানো গাছটির বর্তমান মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।জানা যায়,বিদ্যালয় ছুটি থাকার সুযোগে কাউকে না জানিয়ে, কোনো রকম সরকারি নীতিমালা না মেনে অসৎ উদ্দেশ্যে গোপনে বিদ্যালয় চত্বরে থাকা পুরাতন একটি বিশাল আকৃতির মূল্যবান এন্ট্রি কড়াই গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন দিলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা যাবে। কিন্তু সেসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিয়মবহির্ভূত ভাবে এ কাজ করছেন তিনি।প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক জানান, স্কুলের ছেলেপেলে পিকনিক করতে গাছের ডাল কেটেছে। আমি বিষয়টি অবগত হওয়ার পরে তাদের ডাল কাটতে নিষেধ করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, স্কুলের টয়লেটের ছাদে গাছটি দুলে পড়েছে। ছাদে উপরে গাছের পাতা পড়ে নোংরা হয়ে থাকে। স্কুলে অফিস সহকারী না থাকায় সেগুলো পরিষ্কার করতে কষ্ট হয়। তাই ছেলে পেলে গাছের ডাল কেটেছে। গাছ কাটার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজল্যুশন করা আছে। মৌখিক ভাবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ কোনো আবেদন করেনি। বিষয়টি আমার জানা নেই। কাউকে না জানিয়ে এভাবে কেউ গাছ কাটতে পারে না। এবিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি জানান।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সরকারি গাছ কেটে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। আমি শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলবো।

জনপ্রিয়

পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ধুনটে অনুমোদন ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক

প্রকাশের সময় : ০১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার ধুনটে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই বেড়েরবাড়ি উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে থাকা একটি বিশাল আকৃতির এন্ট্রি কড়াই গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে।গত শনিবার (২২ই মার্চ) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাছটি কেটে বিক্রি করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে দীর্ঘদিন আগে লাগানো গাছটির বর্তমান মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।জানা যায়,বিদ্যালয় ছুটি থাকার সুযোগে কাউকে না জানিয়ে, কোনো রকম সরকারি নীতিমালা না মেনে অসৎ উদ্দেশ্যে গোপনে বিদ্যালয় চত্বরে থাকা পুরাতন একটি বিশাল আকৃতির মূল্যবান এন্ট্রি কড়াই গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন দিলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা যাবে। কিন্তু সেসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিয়মবহির্ভূত ভাবে এ কাজ করছেন তিনি।প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক জানান, স্কুলের ছেলেপেলে পিকনিক করতে গাছের ডাল কেটেছে। আমি বিষয়টি অবগত হওয়ার পরে তাদের ডাল কাটতে নিষেধ করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, স্কুলের টয়লেটের ছাদে গাছটি দুলে পড়েছে। ছাদে উপরে গাছের পাতা পড়ে নোংরা হয়ে থাকে। স্কুলে অফিস সহকারী না থাকায় সেগুলো পরিষ্কার করতে কষ্ট হয়। তাই ছেলে পেলে গাছের ডাল কেটেছে। গাছ কাটার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজল্যুশন করা আছে। মৌখিক ভাবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ কোনো আবেদন করেনি। বিষয়টি আমার জানা নেই। কাউকে না জানিয়ে এভাবে কেউ গাছ কাটতে পারে না। এবিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি জানান।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সরকারি গাছ কেটে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। আমি শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলবো।