, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা কালীগঞ্জে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

পটুয়াখালী জেলা শিক্ষক সমিতির ত্রি বার্ষিক সম্মেলন।

  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫
  • ১৯১ পড়া হয়েছে

মোয়াজ্জেম হোসেন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :

শিক্ষক সমাজকে আর অবহেলা নয়, তাদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে” এই প্রত্যয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (সেলিম ভূইয়া) ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে হেতালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শবনম মুস্তারী পিরু এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লতিফ মিউনিসিপ্যাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মঞ্জুরুল আহসানের নাম ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া। শনিবার(১৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় পটুয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি পটুয়াখালী জেলার আহবায়ক আবদুল মতিন মিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো.জাকির হোসেন। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মো.রুহুল আমিন ব্যাপারী ও যুগ্ম মহাসচিব মো.হারুন অর রশিদ। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক শবনম মুস্তারী পিরু এবং জেলা কমিটির সদস্য সচিব মঞ্জুরুল আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম- মহাসচিব এ এইচ এম সায়েদুজ্জামানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, বিএনপি নেতৃবৃন্দ,শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ এবং মিডিয়াকর্মীরা।

সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিগুলো ছিল, সকল স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য নিরসন।বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি করণে স্বচ্ছতা। অবসরের পর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা। এ সময় বক্তারা বলেন, অধিকার আদায়ের জন্য শিক্ষক সমাজকে এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোচ্চার হতে হবে।
মহাসচিব মো: জাকির হোসেন বলেন, দেশের শিক্ষকরা আজ নানা অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার। বহু প্রতিষ্ঠানে বেতন বাকি, পদোন্নতি ঝুলে থাকা এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কলেজ পর্যায়ে প্রশ্নফাঁস, পরীক্ষা বাণিজ্যসহ দুর্নীতির নানা চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মো.সেলিম ভূইয়া বলেন, “পতিত শেখ হাসিনার সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বরং ১৫ বছর শিক্ষকদের সাথে প্রতারণা করেছে। শিক্ষকদের বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করেছে। তিনি আরও বলেন, একটি জাতিকে উন্নত করতে হলে আগে শিক্ষক সমাজের আর্থিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।” বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জনাব তারেক রহমানের সহযোগিতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সহ শিক্ষকদের সকল দাবী পুরণ হবে ইনশাআল্লাহ।
সম্মেলন শেষে আয়োজকরা বলেন, “এ সম্মেলন শুধু নেতৃত্ব নির্বাচনের নয়, বরং শিক্ষকদের অধিকার আদায়ের নতুন জাগরণ সূচনার প্রতীক। সকলের কণ্ঠে ছিল একটাই বার্তা, ‘শিক্ষকের সম্মান জাতির সম্মান, আর তা রক্ষায় আমরা একতাবদ্ধ।

জনপ্রিয়

পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালী জেলা শিক্ষক সমিতির ত্রি বার্ষিক সম্মেলন।

প্রকাশের সময় : ১২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫

মোয়াজ্জেম হোসেন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :

শিক্ষক সমাজকে আর অবহেলা নয়, তাদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে” এই প্রত্যয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (সেলিম ভূইয়া) ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে হেতালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শবনম মুস্তারী পিরু এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লতিফ মিউনিসিপ্যাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মঞ্জুরুল আহসানের নাম ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া। শনিবার(১৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় পটুয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি পটুয়াখালী জেলার আহবায়ক আবদুল মতিন মিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো.জাকির হোসেন। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মো.রুহুল আমিন ব্যাপারী ও যুগ্ম মহাসচিব মো.হারুন অর রশিদ। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক শবনম মুস্তারী পিরু এবং জেলা কমিটির সদস্য সচিব মঞ্জুরুল আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম- মহাসচিব এ এইচ এম সায়েদুজ্জামানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, বিএনপি নেতৃবৃন্দ,শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ এবং মিডিয়াকর্মীরা।

সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিগুলো ছিল, সকল স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য নিরসন।বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি করণে স্বচ্ছতা। অবসরের পর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা। এ সময় বক্তারা বলেন, অধিকার আদায়ের জন্য শিক্ষক সমাজকে এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোচ্চার হতে হবে।
মহাসচিব মো: জাকির হোসেন বলেন, দেশের শিক্ষকরা আজ নানা অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার। বহু প্রতিষ্ঠানে বেতন বাকি, পদোন্নতি ঝুলে থাকা এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কলেজ পর্যায়ে প্রশ্নফাঁস, পরীক্ষা বাণিজ্যসহ দুর্নীতির নানা চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মো.সেলিম ভূইয়া বলেন, “পতিত শেখ হাসিনার সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বরং ১৫ বছর শিক্ষকদের সাথে প্রতারণা করেছে। শিক্ষকদের বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করেছে। তিনি আরও বলেন, একটি জাতিকে উন্নত করতে হলে আগে শিক্ষক সমাজের আর্থিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।” বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জনাব তারেক রহমানের সহযোগিতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সহ শিক্ষকদের সকল দাবী পুরণ হবে ইনশাআল্লাহ।
সম্মেলন শেষে আয়োজকরা বলেন, “এ সম্মেলন শুধু নেতৃত্ব নির্বাচনের নয়, বরং শিক্ষকদের অধিকার আদায়ের নতুন জাগরণ সূচনার প্রতীক। সকলের কণ্ঠে ছিল একটাই বার্তা, ‘শিক্ষকের সম্মান জাতির সম্মান, আর তা রক্ষায় আমরা একতাবদ্ধ।