
এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকা থেকে গাইবান্ধাগামী একটি পিকআপভ্যান থামিয়ে “ডিবি পুলিশ” পরিচয়ে চোখ ও হাত বেঁধে চালক ও সহকারীকে ফেলে রেখে প্রায় লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়েছিলো সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র। এই ঘটনায় বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তে র্যাব-১২ এর পৃথক অভিযানে আরও দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ১২ আগস্ট রাত অনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার ৪নং আড়িয়া ইউনিয়নের রহিমাবাদ বি-ব্লকের ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ওভারপাস এলাকায়। ওইদিন রাত ১২টা ১০ মিনিটে চালক মোঃ আল-আমিন (৩৫) পিকআপভ্যানে (ঢাকা মেট্রো-ন-২১-১৬৬৪) ১,২০,০০০ টাকা মূল্যের ফার্নিচার বোঝাই করে কেরানীগঞ্জ থেকে গাইবান্ধা ও দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
শাজাহানপুর পৌঁছালে তিনটি প্রাইভেট কারে থাকা ১৪-১৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে পিকআপ থামিয়ে চালক ও হেলপারকে নামিয়ে ফেলে, হাতকড়া পরায় ও চোখ বেঁধে একটি গাড়িতে তোলে। পরে তাদের বগুড়া সদর উপজেলার ২নং বাইপাসে ঘুনিয়াতলা এলাকায় নিয়ে গিয়ে রাস্তার পাশের গর্তে ফেলে দেয় এবং পিকআপ ও মালামাল নিয়ে চম্পট দেয়।
পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় চালক ও হেলপার উদ্ধার হলে, ১৩ আগস্ট শাজাহানপুর থানায় মামলা (নং-১৫, ধারা-১৭০/১৭১/৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড-১৮৬০) দায়ের করা হয়।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১২ এর সিপিএসসি বগুড়া ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে বগুড়া শহরতলীর ফুলদিঘী এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামী মোঃ কালাম মিয়া (৩৭), পিতা মৃত কামাল মিয়া, সাং মালগ্রাম ডাবতোলা –কে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে ১টি স্মার্টফোন, ১টি বাটন মোবাইল ও ২টি সীম জব্দ করা হয়।
একইদিন অপর অভিযানে শহরতলীর নিশিন্দারা এলাকায় অবস্থিত এনার্জি পাম্পের বিপরীতে আরও এক অভিযানে গ্রেফতার করা হয় মামলার অন্যতম আসামী রাসেল সরকার (৩৭), পিতা মৃত সাজ্জাদ হোসেন, সাং সুলতানগঞ্জ পাড়া, বগুড়া। তার কাছ থেকেও ১টি বাটন মোবাইল ও ২টি সীম উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ১৭ আগস্ট এই মামলায় আরও তিনজন আসামী — সাব্বির পাশা শাওন (৩০), গোলাম মোস্তফা পাশা (৩৯), এবং মোঃ সুমন (২৫) — কে গ্রেফতার করে শাজাহানপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছিল।
গ্রেফতারকৃত সকল আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব-১২ সূত্র জানিয়েছে।

এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ 

























