
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান আশাশুনি,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তুয়ারডাঙ্গা হাজী ফেরাজতুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার মন্ডল সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার দুপুর ২ টায় আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে সুব্রত কুমার মন্ডল জানান,গত ৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধনে আর্থিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডে দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে ভুয়া ও ভিত্তিহীন। বিদ্যালয়ের এডহক কার্মটির সভাপতি মোর্তজা আল মামুনের নির্দেশে শিক্ষকের মান-সম্মান বোঝেনা তাদের দিয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার মানসে অনৈতিক মানববন্ধন করেছে।আমাকে আর্থিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডে দুর্নীতি পরায়ন বলা হয়েছে। অথচ আমি শিক্ষকবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতি তিন বছর অন্তর একজন একজন সহকারী শিক্ষককে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব দিয়ে বিদ্যালয়ে আয়-ব্যয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এবং অভ্যন্তরীন অডিট কমিটির মাধ্যমে ৬ মাস অন্তর অডিট করিয়ে প্রতিবেদন ম্যানেজিং কমিটিকে দেয়া হয়। নিয়োগ বার্ণিজ্যের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,এডহক কমিটি কোন নিয়োগ দেয়নি। পূর্ববর্তী ম্যানেজিং কমিটি সমূহ নিয়োগ কার্যক্রম কমিটি ও সভাপতি ভূমিকা পালন করেছেন। আমি যেটুকু অফিসিয়াল কার্যক্রম করা দরকার সেটুকু পালন করেছি। স্বেচ্ছাচারিতা মূলক আদৌ কখনোই কিছু করিনি। বিদ্যালয়ে ১৬ বছর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে আমি সরকারী বিধি-বিধান মেনে বিদ্যালয় পরিচালনার চেষ্টা করেছি এবং করছি। মানববন্ধনে দুর্নীতি,নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতামূলক কর্মকান্ডের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ঘরোয়াট। কেবল এই বিদ্যালয়ে নয়, ইতিপূর্বে বলাবাড়িষ আমজাদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী গণিত শিক্ষক হিসেবে ১৬ বছর এবং বাইনতলা আর সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে ৩ বছর অতীব নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে এসেছি। আমি এখানে যোগদানের পর ৫টি টিনসেড ঘর টালিসেড,দেয়াল প্লাস্টার,দুটি বিল্ডিংয়ের গ্রিল লাগানো, ১৮টি ল্যাপটপ, ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ল্যাব,প্রাচীর নির্মান,গেট নির্মান,এ্যাটাস্ট বাথরুম,খেলার মাঠে বালি ভরাট করিয়েছি। সাইক্লোন শেল্টার,উর্ধমুখী বিল্ডিং নির্মানের আবেদন করেছি। এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৯০ ও ৯৫%। আর্থিক লেনদেনে সভাপতির স্বাক্ষর সম্পর্কে তিনি বলেন,সভাপতি অনেক দূরে থাকেন। নিয়মিত স্কুলে আসতে পারেননা। তার পরামর্শে ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তনের জন্য রেজুলেশন লেখা হলেও তিনি এসে স্বাক্ষর করতে পারেননি,ব্যাংকেও যেতে পারেননি। বাধ্য হয়ে পুর্বের রেজুলেশনের সিদ্ধান্ত মত লেনদেন কাজ চলছে। এসময় স্কুলের একজন শিক্ষক বাদে সকল শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।