, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খানসামায় মাদক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড, লালমনিরহাটে ঘুমন্ত স্বামীর শরীরে গরম তেল দিয়ে শরীর ঝলসে দেওয়ায় মামলা, স্ত্রী কারাগারে বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন করলেন হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি রখফার আশাশুনি কৃষি ব্যাংকের গ্রাহক সেবা পক্ষ পালিত প্রতিবাদে শালার সংবাদ সম্মেলন ‎কমলনগরে ভুয়া দলিলে ২৯ একর জমি দখলে নিলেন ভগ্নিপতি অবৈধ স্থাপনার দখলে মাড়কোনা–মোকামবাজার সড়কে যান চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টি কক্সবাজারে নতুন ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০০, মৃত ভোটার সনাক্ত ২৭২৮৫ মেরুরজ্জু আঘাত প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে মানিকগঞ্জে আলোচনা সভা নিয়ামতপুরে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ডাঃ ছালেক চৌধুরীর মতবিনিময় সভাপতি জাহিদ রিপন, সম্পাদক আকাশ।। মহিপুর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন

অবৈধ স্থাপনার দখলে মাড়কোনা–মোকামবাজার সড়কে যান চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টি

  • প্রকাশের সময় : ৯ ঘন্টা আগে
  • ২৩ পড়া হয়েছে

আবদাল মিয়া মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি :

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের মাড়কোনা-মোকামবাজার লিংক সড়কটির বিভিন্ন স্থানে দুই পাশ ঘেঁষে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে সড়কের প্রস্থ কমে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। যাতায়াত ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে অসহনীয় দূর্ভোগ।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির পাশ ঘিরে একের পর এক গড়ে উঠেছে স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানকোঠা, বসতঘরের প্রাচীর, দেয়াল, কোথাও কোথাও স্তুপ করে রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী, এমনকি খোলা বাজারের অস্থায়ী স্টলও বসানো হয়েছে রাস্তার পাশ ঘিরে।

ব্যস্ততম এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষজন, কৃষিপণ্যবাহী যানবাহন, সিএনজি, অটোরিকশা, পিকআপ সহ শত শত যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সড়কের বেশির ভাগ জায়গা দখল হয়ে থাকায় বিপরীতগামী যানবাহনকে সাইড দিতে গেলে বাড়ে বিপত্তি। এতে করে যাতায়াতে বাড়ছে ভোগান্তি। অপচয় হচ্ছে যাত্রিদের সময়।

মাড়কোনা–মোকামবাজার সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী যানবাহনের চালক, যাতায়াতকারী এবং স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী বিভিন্নজনের সাথে আলাপকালে অবিলম্বে মাড়কোনা–মোকামবাজার সড়কের দুই পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জনগণের চলাচলের পথ উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, সড়ক জনগণের। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়। তাই প্রশাসনের উচিৎ এখনই সরজমিনে এসে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা।

তারা বলেন, সড়কটা দখল হয়ে এমন সংকীর্ণ হয়ে গেছে যে, হেঁটে চলাও কষ্টকর। দুর্ঘটনার ঝুঁকিতো রয়েছে-ই। শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় যাতায়াত করে। যাতায়াতে ভোগান্তি আর ধুলোবালিতে হাঁটাচলা করা যায় না। অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি।

এলজিইডির সম্পত্তি হলেও কার্যত প্রশাসনের নজরদারির অভাবে এসব অবৈধ স্থাপনা দিনে দিনে আরও বিস্তৃত হচ্ছে উল্লেখ করে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শুধু উচ্ছেদ নয়, প্রশাসনের উচিত নিয়মিত মনিটরিং করা। সড়কের দুই পাশে নতুন করে যেন কেউ দখল করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

জনপ্রিয়

খানসামায় মাদক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড,

অবৈধ স্থাপনার দখলে মাড়কোনা–মোকামবাজার সড়কে যান চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টি

প্রকাশের সময় : ৯ ঘন্টা আগে

আবদাল মিয়া মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি :

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের মাড়কোনা-মোকামবাজার লিংক সড়কটির বিভিন্ন স্থানে দুই পাশ ঘেঁষে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে সড়কের প্রস্থ কমে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। যাতায়াত ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে অসহনীয় দূর্ভোগ।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির পাশ ঘিরে একের পর এক গড়ে উঠেছে স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানকোঠা, বসতঘরের প্রাচীর, দেয়াল, কোথাও কোথাও স্তুপ করে রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী, এমনকি খোলা বাজারের অস্থায়ী স্টলও বসানো হয়েছে রাস্তার পাশ ঘিরে।

ব্যস্ততম এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষজন, কৃষিপণ্যবাহী যানবাহন, সিএনজি, অটোরিকশা, পিকআপ সহ শত শত যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সড়কের বেশির ভাগ জায়গা দখল হয়ে থাকায় বিপরীতগামী যানবাহনকে সাইড দিতে গেলে বাড়ে বিপত্তি। এতে করে যাতায়াতে বাড়ছে ভোগান্তি। অপচয় হচ্ছে যাত্রিদের সময়।

মাড়কোনা–মোকামবাজার সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী যানবাহনের চালক, যাতায়াতকারী এবং স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী বিভিন্নজনের সাথে আলাপকালে অবিলম্বে মাড়কোনা–মোকামবাজার সড়কের দুই পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জনগণের চলাচলের পথ উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, সড়ক জনগণের। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়। তাই প্রশাসনের উচিৎ এখনই সরজমিনে এসে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা।

তারা বলেন, সড়কটা দখল হয়ে এমন সংকীর্ণ হয়ে গেছে যে, হেঁটে চলাও কষ্টকর। দুর্ঘটনার ঝুঁকিতো রয়েছে-ই। শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় যাতায়াত করে। যাতায়াতে ভোগান্তি আর ধুলোবালিতে হাঁটাচলা করা যায় না। অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি।

এলজিইডির সম্পত্তি হলেও কার্যত প্রশাসনের নজরদারির অভাবে এসব অবৈধ স্থাপনা দিনে দিনে আরও বিস্তৃত হচ্ছে উল্লেখ করে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শুধু উচ্ছেদ নয়, প্রশাসনের উচিত নিয়মিত মনিটরিং করা। সড়কের দুই পাশে নতুন করে যেন কেউ দখল করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।