
খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি : শাক-সবজি চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা। বিভিন্ন জাতের সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যাতে কৃষকদের ব্যস্ততা বেড়েছে এ জেলায়। হাট-বাজারের চাহিদা বিবেচনায় রেখে একটু বেশি লাভের আশায় সবজি চাষে স্বপ্ন বুনছেন তারা।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তানদীর প্রত্যন্ত চরাঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে দিন দিনকে দিন বেড়েই চলেছে সবজির চাষ।
বর্তমানে বাণিজ্যিক ভাবে তিস্তা নদীর প্রত্যন্ত এলাকায় আগাম সবজি চাষে বেশ সফলতা অর্জন করেছেন কৃষকেরা।
সারি সারি ফুলকপি,লাউ,বাঁধাকপি,বেগুন,টমেটো, সিম,মুলা,পটল ও লাল শাকসহ নানান রকমের সবজির আবাদবিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে এসব এলাকায়। আর মাঠে এসব ফসলের পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত কৃষকেরা। এখানকার কৃষকেরা প্রত্যাশা করছেন অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এসব সবজির বাজারজাত শুরু করতে করবেন তারা।
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে জমিতে চারা রোপণ, পানি দেওয়া ও আগাছা পরিস্কারসহ ক্ষেত পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক।
এখন শুধু নিজেদের চাহিদাই নয়, বাণিজ্যিকভাবেই চাষ হচ্ছে এসব সবজির আবাদ।
এসব সবজি চলতি মৌসুমে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে ও পাঠাবেন বলে জানান কৃষকেরা। তারা বলেন পানি জমে না এমন উঁচু জমিতে কপি চাষের জন্য উপযুক্ত।
জেলা সদরের তিস্তার চরাঞ্চলের কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,আগাম যে কোনো সবজির চাষ হলে বাজারে তার চাহিদা বেশি থাকে। যে কারণে,লাভ ও হয় বেশি। কম সময়ে অধিক মুনাফার জন্য ফুলকপি,লাউ,মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদির জুড়ি নেই।
বর্তমানে সবজিতে কীটনাশকের ব্যবহার কম থাকায় গুণগত মানে চাহিদাও অনেক বেশি। আবহাওয়া ভালো থাকলে জমি থেকে সবজি চাষ করে ভালো আয় হবে বলে আশাবাদি তারা। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাইখুল আরিফিন জানান,
এ জেলায় চলতি মৌসুমে বিভিন্ন জাতের শাক-সবজির চাষবাদ হয়েছে। এছাড়াও সব ধরনের ফসলের ভালোই ফলন হচ্ছে। আশা করছি এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি শাক-সবজি উৎপাদিত হবে এ অঞ্চলে। বর্তমানে কৃষকেরা জৈব পদ্ধতিতে বিষমুক্ত শাক-সবজি উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছে। আর হাট-বাজারে চাহিদা থাকায় কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত সবজি ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান ও হচ্ছে।





















