
এম.এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার শেরপুরে আবারও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন ব্যবসায়ী ও অটোচালকরা। টানা দুই দিনে দুটি পৃথক ঘটনায় এক অটোচালক গুরুতর আহত হয়েছেন এবং অপরজন অর্থ ও মোবাইল হারিয়েছেন। সচেতন মহলের প্রশ্ন, “প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, তবে কি পুলিশের টনক নড়ছে না?”
প্রথম ঘটনাটি ঘটে ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক মহাসড়কের শুভগাছা এলাকায়। জানা যায়, উপজেলার দশশিকা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মেহেদী হাসান (২০) চায়না অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় চাউলহাটি থেকে এক অজ্ঞাত যাত্রী অটোরিকশায় ওঠেন এবং শুভগাছা গ্রামের দিকে যাওয়ার কথা বলেন।
শুভগাছা এলাকায় পৌঁছালে, মেহেদী অটোরিকশা থামিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে নামেন। তখন পেছন থেকে ওই যাত্রী লোহার রেঞ্চ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। মেহেদী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে, ছিনতাইকারী আরও একাধিকবার তার মাথায় আঘাত করে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মেহেদীকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
অপরদিকে, দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে ১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত ৯টার দিকে। গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর পিসি ভাটা এলাকার মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে এনামুল হক নিজস্ব অটোভ্যানে করে শাহজাহানপুর থানাধীন নয়মাইল গ্রামে কেক পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে গাড়িদহ ডেইরি ফার্মের সামনে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা তিন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার গতি রোধ করে। একজন তার পেটে ধারালো ছুরি ধরে রাখে এবং অপর দুইজন পকেট থেকে ভিভো অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল (আইএমইআই নং: ৮৬৮২৪১০৫৯৪৩৯০৩৫, ৮৬৮২৪১০৫৯৪৩৯০২৭), যার বাজারমূল্য প্রায় ১৬ হাজার টাকা এবং মানিব্যাগে থাকা নগদ ২০,৫৫০ টাকা ছিনতাই করে নেয়। এসময় তারা প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে যায়।
দুই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বলেন, “ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেয়েছি, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
শেরপুরে সাম্প্রতিক এই ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বারবার এমন ঘটনার পরও যথাযথ আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা আরও হুমকির মুখে পড়বে।