
মোঃ মিঠু মিয়া, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমানে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বোয়ালিয়া পানাতে পাড়া এলাকায় বসবাসরত মোছাঃ নাজমিন বেগম (২৩) নামের এক গৃহবধূর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম ও নগদ ২০ হাজার টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, থানায় লিখিত এজাহার দায়েরের পরও দীর্ঘ ১০ দিন পার হলেও গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
নাজমিন বেগম স্বামীসহ প্রায় পাঁচ বছর ধরে স্থানীয় কামাল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। একই বাড়িতে গত ছয় মাস ধরে ভাড়া আছেন কাকুলী বেগম (২৫) ও তার স্বামী হেলাল মিয়া (৩২)। পারিবারিক বিষয় নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে পূর্ব থেকে দ্বন্দ্ব চলছিল।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে হেলাল মিয়ার প্ররোচনায় কাকুলী বেগম নাজমিনের ঘরের আসবাবপত্র জোরপূর্বক বাইরে ফেলতে চান। বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজমিন বেগমের ওপর হামলা চালান। তিনি গৃহবধূর চুল ধরে এলোপাতাড়ি মারধর করেন, শ্বাসরোধের চেষ্টা করেন এবং ধারালো ছোরা দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করেন।
এ সময় অভিযুক্তরা ঘরের ড্রয়ার ভেঙে রক্ষিত নগদ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ভুক্তভোগীকে মামলা না করার জন্য প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।
নাজমিন বেগমের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে তিনি থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
নাজমিন বেগম বলেন,
ঘটনার পর থেকে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। থানায় অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।”
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল ইসলাম-এর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করেছেন, সন্ত্রাসী প্রকৃতির আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।





















