, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা কালীগঞ্জে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

‎লালমনিরহাটে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

 

‎ইয়াদ আলী,বড়বাড়ি – লালমনিরহাট সদর :

 

বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন লালমনিরহাট জেলা শাখা। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের এসোসিয়েশন কার্যালয়ের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল হাকিম লিখিত বক্তব্যে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সরকারের কাছে কিছু যৌক্তিক দাবি পেশ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো,ডিলারদের পরিবহন খরচ ও বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধি করা। তিনি বলেন, জ্বালানির দাম একাধিকবার বাড়লেও পরিবহন খরচ বাড়ানো হয়নি। একইভাবে ব্যাংক সুদ, গুদাম ভাড়া, কর্মচারী ব্যয়, লোড-আনলোডসহ অন্যান্য খরচ বাড়লেও বিক্রয় কমিশন সমন্বয় হয়নি।

এ সময় তিনি বিদ্যমান ডিলারশিপ বহাল রাখার দাবি জানান। একই পরিবারে বাবা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রী বা ভাই-ভাই আলাদা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলে এবং সরকারের শর্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করতে পারলে তাদের ডিলারশিপ বাতিল করা যাবে না বলেও দাবি করেন তিনি।

আব্দুল হাকিম আরও বলেন, বিসিআইসি ডিলাররা ১৯৯৫-৯৬ সাল থেকে সরকার নির্ধারিত নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ইউরিয়া সারের সরকারি মূল্য ১ হাজার ৩৫০ টাকা থাকলেও বর্তমানে বাজারে তা ১ হাজার ২৯০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, অর্থাৎ দাম বাড়েনি। অথচ ননইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি আলোচনায় আসছে, যা ভাবনার বিষয়।

 

‎তিনি জানান, কৃষক পর্যায়ে সরকার ভর্তুকি মূল্যে সার সরবরাহ করে থাকে। এই ভর্তুকি সারের ওপর কোনোভাবেই উৎসে কর আরোপ করা যাবে না। তা হলে সারের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে এবং স্থানীয় পর্যায়ে দাম বেড়ে যাবে।

 

বিদ্যমান এই নীতিমালায় ডিলাররা বিগত ৩০ বৎসর যাবৎ সার সরবরাহ করে আসছে,তেমন সমস্যা হয়নি।কিন্তু,বর্তমানে দেশে চাষাবাদের পরিমাণ বেড়েছে। কৃষিতে দুই,তিন ও চার ফসলি ফসলের বিপ্লব ঘটার কারণে,সারের ও চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু,সরকার বরাদ্দের পরিমাণ আগের মতোই রেখেছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে গত ১৯৯১ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী এখনো বরাদ্দ পাচ্ছে।

 

অথচ-এখন ২০২৫ সালে এসে দেখা যাচ্ছে জমির পরিমাণ কমবেশি হয়েছে। এমন ও দেখা যাচ্ছে অনেক এলাকায় চাষের জমি কমে গিয়ে সার অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে,কিন্তু,আমাদের এখানে সারের চাহিদা বাড়লেও বরাদ্দ সেই ১৯৯১ সালের নিয়মেই পাচ্ছি। এছাড়াও চরান্চলের অনেক জমি কৃষিতে যুক্ত হয়েছে। এখানকার অনেক কৃষকই নতুন নতুন ফসল আবাদ করছেন,যেমন বিগত কয়েক বছর ধরে,বিশেষ করে ভুট্টার আবাদ ব্যাপক হারে বেড়েছে এখানে। সেই সাথে বেড়েছে সারের চাহিদা ও। কিন্তু,বরাদ্দ রয়েছে আগের মতোই। তাই,এই বিষয়টিতে গুরুত্ব প্রদানে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।


সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন,জেলা শাখার সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম বাদল,নাসির উদ্দিন মিয়া,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা সহ  সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

জনপ্রিয়

পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

‎লালমনিরহাটে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশের সময় : ০৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

‎ইয়াদ আলী,বড়বাড়ি – লালমনিরহাট সদর :

 

বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন লালমনিরহাট জেলা শাখা। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের এসোসিয়েশন কার্যালয়ের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল হাকিম লিখিত বক্তব্যে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সরকারের কাছে কিছু যৌক্তিক দাবি পেশ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো,ডিলারদের পরিবহন খরচ ও বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধি করা। তিনি বলেন, জ্বালানির দাম একাধিকবার বাড়লেও পরিবহন খরচ বাড়ানো হয়নি। একইভাবে ব্যাংক সুদ, গুদাম ভাড়া, কর্মচারী ব্যয়, লোড-আনলোডসহ অন্যান্য খরচ বাড়লেও বিক্রয় কমিশন সমন্বয় হয়নি।

এ সময় তিনি বিদ্যমান ডিলারশিপ বহাল রাখার দাবি জানান। একই পরিবারে বাবা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রী বা ভাই-ভাই আলাদা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলে এবং সরকারের শর্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করতে পারলে তাদের ডিলারশিপ বাতিল করা যাবে না বলেও দাবি করেন তিনি।

আব্দুল হাকিম আরও বলেন, বিসিআইসি ডিলাররা ১৯৯৫-৯৬ সাল থেকে সরকার নির্ধারিত নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ইউরিয়া সারের সরকারি মূল্য ১ হাজার ৩৫০ টাকা থাকলেও বর্তমানে বাজারে তা ১ হাজার ২৯০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, অর্থাৎ দাম বাড়েনি। অথচ ননইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি আলোচনায় আসছে, যা ভাবনার বিষয়।

 

‎তিনি জানান, কৃষক পর্যায়ে সরকার ভর্তুকি মূল্যে সার সরবরাহ করে থাকে। এই ভর্তুকি সারের ওপর কোনোভাবেই উৎসে কর আরোপ করা যাবে না। তা হলে সারের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে এবং স্থানীয় পর্যায়ে দাম বেড়ে যাবে।

 

বিদ্যমান এই নীতিমালায় ডিলাররা বিগত ৩০ বৎসর যাবৎ সার সরবরাহ করে আসছে,তেমন সমস্যা হয়নি।কিন্তু,বর্তমানে দেশে চাষাবাদের পরিমাণ বেড়েছে। কৃষিতে দুই,তিন ও চার ফসলি ফসলের বিপ্লব ঘটার কারণে,সারের ও চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু,সরকার বরাদ্দের পরিমাণ আগের মতোই রেখেছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে গত ১৯৯১ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী এখনো বরাদ্দ পাচ্ছে।

 

অথচ-এখন ২০২৫ সালে এসে দেখা যাচ্ছে জমির পরিমাণ কমবেশি হয়েছে। এমন ও দেখা যাচ্ছে অনেক এলাকায় চাষের জমি কমে গিয়ে সার অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে,কিন্তু,আমাদের এখানে সারের চাহিদা বাড়লেও বরাদ্দ সেই ১৯৯১ সালের নিয়মেই পাচ্ছি। এছাড়াও চরান্চলের অনেক জমি কৃষিতে যুক্ত হয়েছে। এখানকার অনেক কৃষকই নতুন নতুন ফসল আবাদ করছেন,যেমন বিগত কয়েক বছর ধরে,বিশেষ করে ভুট্টার আবাদ ব্যাপক হারে বেড়েছে এখানে। সেই সাথে বেড়েছে সারের চাহিদা ও। কিন্তু,বরাদ্দ রয়েছে আগের মতোই। তাই,এই বিষয়টিতে গুরুত্ব প্রদানে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।


সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন,জেলা শাখার সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম বাদল,নাসির উদ্দিন মিয়া,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা সহ  সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।