
খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেয়ায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর দেড় মাস পুর্বে বিয়ে হলেও বর্তমানে সে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা! আর এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের নিচিন্তটারী এলাকায়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ৫৮ বছর বয়সী আমিনুরকে আটক করেছে। ঐ কিশোরী আরও জানায়, এ ঘটনার সাথে নিজের দুই ফুপা বাচ্চু মিয়া ও আদল মিয়া জড়িত ছিলেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় মাস আগে ভুক্তভোগী কিশোরীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর হঠাৎ পেটে ব্যথা দেখা দিলে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সন্দেহ হলে, আল্ট্রাসনোগ্রাম করান এবং তখনই জানা যায় কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি জানার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার পরিবারকে ডেকে এনে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
পরে, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে কিশোরী প্রথমে আমিনুরের নাম প্রকাশ করে। তবে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে তার দুই ফুপা—বাচ্চু মিয়া ও আদল মিয়ার নামও উল্লেখ করে।
এ বিষয়ে আমিনুর ইসলামের মামাতো ভাই মিলন দাবি করেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আর আমিনুর ইসলামের শ্যালক নুরন্নবী জানান, গ্রাম্য সালিশে প্রথমে দুলাভাইকে একমাত্র আসামি করা হলেও, পরে কিশোরীর জবানবন্দিতে প্রকৃত অপরাধীদের নাম প্রকাশ পায়।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করে প্রকৃত ঘটনা উম্মোচিত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এবং তদন্তের সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।





















