, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে বাউল আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অভিমানে পরোপারে পাড়ি জমালেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ইসমতআরা! পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব

কক্সবাজার সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনে লাখো মানুষের ঢল

  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫০ পড়া হয়েছে

আলফাজ মামুন নুরী জেলা কক্সবাজার প্রাতিনিধি :

বিজয়া দশমীর প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে লাখো মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সৈকতের লাবণী পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের উন্মুক্ত মঞ্চে বিজয়া সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জেলার সাত উপজেলার মণ্ডপ থেকে ট্রাকে করে প্রতিমা সৈকতে আনা হয়। পাশাপাশি বান্দরবানের লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি থেকেও প্রতিমা আসে। তবে চকরিয়া ও পেকুয়ার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় মাতামুহুরী নদীতে।

শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী উপলক্ষে হাজারো ভক্ত ছাড়াও দেশজুড়ে ছুটে আসা পর্যটকদের ভিড়ে উৎসব মুখর হয়ে ওঠে কক্সবাজার। পূজার সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটিতে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে আগাম বুকিং হয়ে গেছে।

পর্যটক সুবর্ণা ও রিপন বলেন,
“প্রতি বছরই দুর্গাপূজার ছুটিতে কক্সবাজারে আসি। দেশের সবচেয়ে বড় বিসর্জন উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ভালো লাগে। বৃষ্টিতে তেমন অসুবিধা হয়নি।”

পর্যটক সোমা চৌধুরী জানান,
“শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, সব ধর্মের মানুষ এই উৎসব উপভোগ করছে। আমরা পরিবার নিয়ে এসেছি এবং শনিবার রাতে ফিরব।”

হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন,
“এবার পর্যটকদের উপস্থিতি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরাও খুশি।”

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু জানান,
“বিকেল ৫টায় মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। প্রশাসনের সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে সব আয়োজন সম্পন্ন হচ্ছে।”

নিরাপত্তায় সৈকতজুড়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও ট্যুরিস্ট পুলিশের কড়া টহল ছিল। জেলা প্রশাসনও গঠন করেছে সমন্বিত কন্ট্রোল রুম।

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আপেল মাহমুদ বলেন,
“বিপুল সংখ্যক পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতও কাজ করছে।”

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় আবহাওয়া অফিস তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে।

সি সেইফ লাইফ গার্ড কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন,
“বৈরি আবহাওয়ায় সৈকতে গোসল ঝুঁকিপূর্ণ। পর্যটকদের সচেতন থাকতে হবে।”

দুর্গাপূজা উপলক্ষে যাত্রী চাপ সামাল দিতে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে “ট্যুরিস্ট এক্সপ্রেস” নামে বিশেষ ট্রেন চালু করেছে রেলওয়ে।

জনপ্রিয়

শ্রীমঙ্গলে বাউল আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

কক্সবাজার সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনে লাখো মানুষের ঢল

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

আলফাজ মামুন নুরী জেলা কক্সবাজার প্রাতিনিধি :

বিজয়া দশমীর প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে লাখো মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সৈকতের লাবণী পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের উন্মুক্ত মঞ্চে বিজয়া সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জেলার সাত উপজেলার মণ্ডপ থেকে ট্রাকে করে প্রতিমা সৈকতে আনা হয়। পাশাপাশি বান্দরবানের লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি থেকেও প্রতিমা আসে। তবে চকরিয়া ও পেকুয়ার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় মাতামুহুরী নদীতে।

শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী উপলক্ষে হাজারো ভক্ত ছাড়াও দেশজুড়ে ছুটে আসা পর্যটকদের ভিড়ে উৎসব মুখর হয়ে ওঠে কক্সবাজার। পূজার সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটিতে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে আগাম বুকিং হয়ে গেছে।

পর্যটক সুবর্ণা ও রিপন বলেন,
“প্রতি বছরই দুর্গাপূজার ছুটিতে কক্সবাজারে আসি। দেশের সবচেয়ে বড় বিসর্জন উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ভালো লাগে। বৃষ্টিতে তেমন অসুবিধা হয়নি।”

পর্যটক সোমা চৌধুরী জানান,
“শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, সব ধর্মের মানুষ এই উৎসব উপভোগ করছে। আমরা পরিবার নিয়ে এসেছি এবং শনিবার রাতে ফিরব।”

হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন,
“এবার পর্যটকদের উপস্থিতি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরাও খুশি।”

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু জানান,
“বিকেল ৫টায় মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। প্রশাসনের সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে সব আয়োজন সম্পন্ন হচ্ছে।”

নিরাপত্তায় সৈকতজুড়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও ট্যুরিস্ট পুলিশের কড়া টহল ছিল। জেলা প্রশাসনও গঠন করেছে সমন্বিত কন্ট্রোল রুম।

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আপেল মাহমুদ বলেন,
“বিপুল সংখ্যক পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতও কাজ করছে।”

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় আবহাওয়া অফিস তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে।

সি সেইফ লাইফ গার্ড কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন,
“বৈরি আবহাওয়ায় সৈকতে গোসল ঝুঁকিপূর্ণ। পর্যটকদের সচেতন থাকতে হবে।”

দুর্গাপূজা উপলক্ষে যাত্রী চাপ সামাল দিতে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে “ট্যুরিস্ট এক্সপ্রেস” নামে বিশেষ ট্রেন চালু করেছে রেলওয়ে।