, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা কালীগঞ্জে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

ঝিনাইগাতীতে যৌতুকের দাবি মেটাতে না পেরে স্বামীর ঘর করতে পারছে না গৃহবধূ

 

মোঃ বিল্লাল হোসেন, শেরপুর থেকেঃ

 

শেরপুরে যৌতুক লোভি স্বামীর যৌতুকের দাবি মেটাতে না পেরে স্বামীর ঘর করতে পারছে না গৃহবধূ হালিমা আক্তার (২৫)। হালিমা আক্তার উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া গ্রামের মরহুম হযরত আলীর কন্যা। জানা গেছে গত ৭বছর পূর্বে হালিমা আক্তারের বিয়ে হয় একই গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে সোহেল রানার সাথে। অভিযোগে প্রকাশ বিয়ের সময় সোহেল রানাকে ২ লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়।

 

তাদের দাম্পত্য জীবনে একজন কন্যা সন্তান ও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই যৌতুক লোভি সোহেল রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা আরো ২ লাখ টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে দিতে হালিমা আক্তারকে চাপ দেয়। কিন্ত গৃহবধূ হালিমা আক্তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে না পাড়ায়। তার উপর নেমে আসে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজনের অমানবিক নির্যাতন।

 

এক পর্যায়ে সোহেল রানা গত প্রায় ২ বছর পুর্বে হালিমা আক্তার ও তার সন্তানকে বাবার বাড়িতে রেখে যায়। গত দুই বছর ধরে সোহেল রানা স্ত্রী সন্তানের ভরনপোষণ করেন না। বর্তমানে সন্তানসহ বিধবা মাতা রাশিদা বেগম ঘরে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে হালিমা আক্তার ।

 

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সোহেল রানা হালিমা আক্তারের বাবার বাড়িতে এসে পুনরায় ২ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে। কিন্ত হালিমার মা রাশিদা বেগম সোহেল রানার দাবি মেটাতে না পাড়ায় সোহেল রানা উত্তেজিত হয়ে শশুর বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে হালিমা আক্তারকে মারধর করে। পরে হালিমা আক্তার বাদি হয়ে স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করনি।

 

অপর দিকে সোহেল রানা ও তার পরিবারের লোকজন হালিমা আক্তার ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাননাশের হুমকি ও নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। ফলে হালিমা আক্তার ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো,আল আমিন বলেন এবিসয়ে ভিকটিমের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

জনপ্রিয়

পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ঝিনাইগাতীতে যৌতুকের দাবি মেটাতে না পেরে স্বামীর ঘর করতে পারছে না গৃহবধূ

প্রকাশের সময় : ০১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

 

মোঃ বিল্লাল হোসেন, শেরপুর থেকেঃ

 

শেরপুরে যৌতুক লোভি স্বামীর যৌতুকের দাবি মেটাতে না পেরে স্বামীর ঘর করতে পারছে না গৃহবধূ হালিমা আক্তার (২৫)। হালিমা আক্তার উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া গ্রামের মরহুম হযরত আলীর কন্যা। জানা গেছে গত ৭বছর পূর্বে হালিমা আক্তারের বিয়ে হয় একই গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে সোহেল রানার সাথে। অভিযোগে প্রকাশ বিয়ের সময় সোহেল রানাকে ২ লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়।

 

তাদের দাম্পত্য জীবনে একজন কন্যা সন্তান ও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই যৌতুক লোভি সোহেল রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা আরো ২ লাখ টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে দিতে হালিমা আক্তারকে চাপ দেয়। কিন্ত গৃহবধূ হালিমা আক্তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে না পাড়ায়। তার উপর নেমে আসে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজনের অমানবিক নির্যাতন।

 

এক পর্যায়ে সোহেল রানা গত প্রায় ২ বছর পুর্বে হালিমা আক্তার ও তার সন্তানকে বাবার বাড়িতে রেখে যায়। গত দুই বছর ধরে সোহেল রানা স্ত্রী সন্তানের ভরনপোষণ করেন না। বর্তমানে সন্তানসহ বিধবা মাতা রাশিদা বেগম ঘরে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে হালিমা আক্তার ।

 

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সোহেল রানা হালিমা আক্তারের বাবার বাড়িতে এসে পুনরায় ২ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে। কিন্ত হালিমার মা রাশিদা বেগম সোহেল রানার দাবি মেটাতে না পাড়ায় সোহেল রানা উত্তেজিত হয়ে শশুর বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে হালিমা আক্তারকে মারধর করে। পরে হালিমা আক্তার বাদি হয়ে স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করনি।

 

অপর দিকে সোহেল রানা ও তার পরিবারের লোকজন হালিমা আক্তার ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাননাশের হুমকি ও নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। ফলে হালিমা আক্তার ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো,আল আমিন বলেন এবিসয়ে ভিকটিমের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।