, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা কালীগঞ্জে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

‎লালমনিরহাটে পাটের চেয়ে বেশি চাহিদা পাটকাঠির


‎খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি:

 

পাটকে বলা হয়ে থাকে সোনালী আশঁ। লালমনিরহাটে সোনালী আশঁ পাটের চেয়ে পাটকাঠির (সিন্টা’র) চাহিদা অনেক বেশি। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পাট উঠলেও তার কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। শহরের সাথে সাথে গ্রামে ও দিনদিন পাটকাঠির চাহিদা বেড়েই চলেছে। মুঠো হিসেবে কেউ আবার কেজি হিসেবে ফেরি করে পাটকাঠি বিক্রি করছেন এক শ্রেণীর বিক্রেতারা।

জানা গেছে,পাটের পরিবেশবান্ধব বহুমাত্রিক ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। আমাদের দেশের  পরিবেশবান্ধব মনোভাব নিয়ে সচেতন ভূমিকায় পাটের তৈরি পণ্যের ব্যবহার ও বাড়ছে।

 

এ বছর জেলার সদরসহ আদিতমারী,কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় পাটের ভালো ফলন হলেও অনেক ক্ষেত্রে জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েন কৃষকরা। অনেক কষ্টের পাট ঘরে তোলেন পাটচাষিরা।

অথচ,জেলার হাট- বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ থেকে ২২০০ টাকা দরে। একই মানের পাট গত বছর বিক্রি হয়েছে ৩০০০ থেকে ৩২০০ টাকা দরে। পাটের বাজারে দাম কমার কারণে, এবারে পাট চাষিরা প্রতি মণে ১ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। তবে, বাজারে পাটকাঠির ব্যাপক চাহিদা ও দাম ভাল থাকায় তার দাম দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন কৃষকরা।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর জেলায় ৩ হাজার ৩শ ১৫ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলুনায় অনেক কম।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, শহর ও গ্রামে পাটকাঠির ভালো চাহিদা রয়েছে।এ কারণে, পাটের দাম খুব একটা ভালো না পেলেও পাটকাঠির দাম বর্তমান এক মুঠো পাটকাঠি বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে আকারভেদে ১৫ টাকায়। আবার কেজি হিসেবে ও  ফেরি করে পাটকাঠি বিক্রি করছেন অনেক বিক্রেতা।

এক সময়ে গ্রামে রান্নার কাজে ব্যবহৃত অন্যতম প্রধান জ্বালানি ছিল পাটখড়ি। এছাড়াও গ্রামাঞ্চলে ঘরের বেড়া, ঘর ও চালা নির্মাণে পাটখড়ি, ফসলের ক্ষেত, মাটির চুলায় রান্নায় পাটখড়ি, এই পাটখড়ির  ছাইয়ের পানিতে কাপড় ধোয়া হতো। রান্নার জ্বালানি হিসেবে গ্রামের পাশাপাশি শহরেও রয়েছে পাটখড়ির ব্যাপক চাহিদা।

সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের পাটচাষী মাহবুব রহমান বলেন,পাট আবাদ করে এবার লোকসান গুণতে হচ্ছে। পাটের মৌসুমে পানির সমস্যা। অনেক কষ্টের পর পাট ঘরে তোলার পরে বাজারে তার ন্যায্য দাম পাওয়া যায় না। তাই, পাট আবাদ কমিয়ে দিয়েছি। লোকসান হলেও যেটুকু আবাদ করছি, সেটুকু সাংসারিক প্রয়োজনে জ্বালানির জন্য পাটকাঠির দরকারে।আমার বাড়িতে রান্নার চুলা ধরাতে গেলে এই পাটকাঠি প্রয়োজন হয়।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাইখুল আরিফিন বলেন, আগে শুধুমাত্র পাটকাঠি রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবেই ব্যবহার হতো। বর্তমানে, পাটকাঠি দিয়ে ঘরও নির্মাণ,পার্টিক্যাল বোর্ড ও পাটকাঠি পুড়িয়ে এর ছাই দিয়ে কম্পিউটারের প্রিন্টিং মেশিনের কালী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

 

তাছাড়াও চারকল গুলোতেও ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে পাটখড়ি। অপরদিকে, পাটখড়ি পুড়িয়ে তার ছাই ব্যবহার হচ্ছে ফসলের ক্ষেতে। ফলে দিনদিন চাহিদাও বেড়েছে পাটকাঠির।

জনপ্রিয়

পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

‎লালমনিরহাটে পাটের চেয়ে বেশি চাহিদা পাটকাঠির

প্রকাশের সময় : ০৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫


‎খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি:

 

পাটকে বলা হয়ে থাকে সোনালী আশঁ। লালমনিরহাটে সোনালী আশঁ পাটের চেয়ে পাটকাঠির (সিন্টা’র) চাহিদা অনেক বেশি। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পাট উঠলেও তার কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। শহরের সাথে সাথে গ্রামে ও দিনদিন পাটকাঠির চাহিদা বেড়েই চলেছে। মুঠো হিসেবে কেউ আবার কেজি হিসেবে ফেরি করে পাটকাঠি বিক্রি করছেন এক শ্রেণীর বিক্রেতারা।

জানা গেছে,পাটের পরিবেশবান্ধব বহুমাত্রিক ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। আমাদের দেশের  পরিবেশবান্ধব মনোভাব নিয়ে সচেতন ভূমিকায় পাটের তৈরি পণ্যের ব্যবহার ও বাড়ছে।

 

এ বছর জেলার সদরসহ আদিতমারী,কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় পাটের ভালো ফলন হলেও অনেক ক্ষেত্রে জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েন কৃষকরা। অনেক কষ্টের পাট ঘরে তোলেন পাটচাষিরা।

অথচ,জেলার হাট- বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ থেকে ২২০০ টাকা দরে। একই মানের পাট গত বছর বিক্রি হয়েছে ৩০০০ থেকে ৩২০০ টাকা দরে। পাটের বাজারে দাম কমার কারণে, এবারে পাট চাষিরা প্রতি মণে ১ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। তবে, বাজারে পাটকাঠির ব্যাপক চাহিদা ও দাম ভাল থাকায় তার দাম দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন কৃষকরা।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর জেলায় ৩ হাজার ৩শ ১৫ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলুনায় অনেক কম।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, শহর ও গ্রামে পাটকাঠির ভালো চাহিদা রয়েছে।এ কারণে, পাটের দাম খুব একটা ভালো না পেলেও পাটকাঠির দাম বর্তমান এক মুঠো পাটকাঠি বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে আকারভেদে ১৫ টাকায়। আবার কেজি হিসেবে ও  ফেরি করে পাটকাঠি বিক্রি করছেন অনেক বিক্রেতা।

এক সময়ে গ্রামে রান্নার কাজে ব্যবহৃত অন্যতম প্রধান জ্বালানি ছিল পাটখড়ি। এছাড়াও গ্রামাঞ্চলে ঘরের বেড়া, ঘর ও চালা নির্মাণে পাটখড়ি, ফসলের ক্ষেত, মাটির চুলায় রান্নায় পাটখড়ি, এই পাটখড়ির  ছাইয়ের পানিতে কাপড় ধোয়া হতো। রান্নার জ্বালানি হিসেবে গ্রামের পাশাপাশি শহরেও রয়েছে পাটখড়ির ব্যাপক চাহিদা।

সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের পাটচাষী মাহবুব রহমান বলেন,পাট আবাদ করে এবার লোকসান গুণতে হচ্ছে। পাটের মৌসুমে পানির সমস্যা। অনেক কষ্টের পর পাট ঘরে তোলার পরে বাজারে তার ন্যায্য দাম পাওয়া যায় না। তাই, পাট আবাদ কমিয়ে দিয়েছি। লোকসান হলেও যেটুকু আবাদ করছি, সেটুকু সাংসারিক প্রয়োজনে জ্বালানির জন্য পাটকাঠির দরকারে।আমার বাড়িতে রান্নার চুলা ধরাতে গেলে এই পাটকাঠি প্রয়োজন হয়।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাইখুল আরিফিন বলেন, আগে শুধুমাত্র পাটকাঠি রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবেই ব্যবহার হতো। বর্তমানে, পাটকাঠি দিয়ে ঘরও নির্মাণ,পার্টিক্যাল বোর্ড ও পাটকাঠি পুড়িয়ে এর ছাই দিয়ে কম্পিউটারের প্রিন্টিং মেশিনের কালী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

 

তাছাড়াও চারকল গুলোতেও ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে পাটখড়ি। অপরদিকে, পাটখড়ি পুড়িয়ে তার ছাই ব্যবহার হচ্ছে ফসলের ক্ষেতে। ফলে দিনদিন চাহিদাও বেড়েছে পাটকাঠির।