, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে বাউল আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অভিমানে পরোপারে পাড়ি জমালেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ইসমতআরা! পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ

  • প্রকাশের সময় : ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪১ পড়া হয়েছে

আলফাজ মামুন নুরী কক্সবাজার প্রতিনিধি :ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম্যে আতঙ্ক, সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়ায় চলছে নির্মাণ কার্যক্রমক ক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার উত্তর নলবিলা মৌজায় আদালতের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ। মূল মালিকের অজ্ঞাতে একদল প্রভাবশালী ভূমিদস্যু ও জালিয়াত চক্র কৌশলে জমি বিক্রির দলিল সৃজন করে দখল নেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ভুক্তভোগী মূল মালিকরা ন্যায়বিচারের আশায় মহেশখালী সহকারী জজ আদালতে অপর ১৭/২০২১ নম্বর মোকদ্দমা দায়ের করেন। মামলার শুনানি শেষে মাননীয় আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নালিশী জমির ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখা এবং জমি হস্তান্তর না করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

কিন্তু আদালতের সেই স্পষ্ট নির্দেশনা অমান্য করে মামলার ১নং বিবাদী আব্দুল খালেক (পিতা: মৃত আজরফ মিয়া) ও ৩নং বিবাদী মোঃ হোছন (পিতা: আব্দুল খালেক) প্রকাশ্যে নালিশী জমির ওপর অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে চলেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অবৈধ নির্মাণের কাজে বাধা দিলে সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে, যাতে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস না পায়। এতে পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী মূল মালিকরা বলেন—

“আমরা ন্যায়বিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও প্রভাবশালী চক্রটি সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছে—যা বিচার বিভাগের প্রতি অবমাননা ও আইনের শাসনের প্রতি চরম অবজ্ঞা।”

তাঁরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অবিলম্বে কার্যকর হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে আদালতের আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, উক্ত জমির একটি অংশে সড়ক নির্মাণের কারণে সরকারের পক্ষ থেকে বারো লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু মূল মালিকদের অজ্ঞাতে ওই জালিয়াত চক্রটি প্রতারণার মাধ্যমে সেই ক্ষতিপূরণের অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, প্রশাসন যদি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তবে এই ধরণের জালিয়াতি, আদালত অবমাননা ও সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য ভবিষ্যতে মহেশখালী অঞ্চলে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

জনপ্রিয়

শ্রীমঙ্গলে বাউল আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ

প্রকাশের সময় : ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

আলফাজ মামুন নুরী কক্সবাজার প্রতিনিধি :ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম্যে আতঙ্ক, সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়ায় চলছে নির্মাণ কার্যক্রমক ক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার উত্তর নলবিলা মৌজায় আদালতের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ। মূল মালিকের অজ্ঞাতে একদল প্রভাবশালী ভূমিদস্যু ও জালিয়াত চক্র কৌশলে জমি বিক্রির দলিল সৃজন করে দখল নেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ভুক্তভোগী মূল মালিকরা ন্যায়বিচারের আশায় মহেশখালী সহকারী জজ আদালতে অপর ১৭/২০২১ নম্বর মোকদ্দমা দায়ের করেন। মামলার শুনানি শেষে মাননীয় আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নালিশী জমির ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখা এবং জমি হস্তান্তর না করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

কিন্তু আদালতের সেই স্পষ্ট নির্দেশনা অমান্য করে মামলার ১নং বিবাদী আব্দুল খালেক (পিতা: মৃত আজরফ মিয়া) ও ৩নং বিবাদী মোঃ হোছন (পিতা: আব্দুল খালেক) প্রকাশ্যে নালিশী জমির ওপর অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে চলেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অবৈধ নির্মাণের কাজে বাধা দিলে সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে, যাতে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস না পায়। এতে পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী মূল মালিকরা বলেন—

“আমরা ন্যায়বিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও প্রভাবশালী চক্রটি সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছে—যা বিচার বিভাগের প্রতি অবমাননা ও আইনের শাসনের প্রতি চরম অবজ্ঞা।”

তাঁরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অবিলম্বে কার্যকর হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে আদালতের আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, উক্ত জমির একটি অংশে সড়ক নির্মাণের কারণে সরকারের পক্ষ থেকে বারো লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু মূল মালিকদের অজ্ঞাতে ওই জালিয়াত চক্রটি প্রতারণার মাধ্যমে সেই ক্ষতিপূরণের অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, প্রশাসন যদি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তবে এই ধরণের জালিয়াতি, আদালত অবমাননা ও সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য ভবিষ্যতে মহেশখালী অঞ্চলে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।