
এস.বি-সুজন, লালমনিরহাট :
শিশু আনাসের পরিবারের মুখে দিকে তাকানো যায় না। এক সময় নিজের ইচ্ছামতো খেলাধুলা করতো আনাস। এখন খেলাধুলায় আনাস অল্পতেই হাঁপিয়ে যায়, দ্রুত শ্বাস নেয় এবং ক্লান্তি অনুভব করে। ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের জন্মের পর আল হাবিব সংসারের খুশির বন্যা বয়ে গিয়েছিল। তবে আনাস জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই শিশুটির হার্টে একটি ছিদ্র ধরা পড়ায় ওই পরিবারের মুখে দিকে তাকানো যায় না। যেন দুঃখ, কষ্ট আর বেদনায় ভরা পরিবার।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সে হার্টে ছিদ্র নিয়েই জম্ম নিয়েছে। শারীরিক এই সমস্যায় শিশুটির হার্টে দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে।এতে প্রায় ৪/৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
আল হাবিবের বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর।
আনাসের পরিবার জানায়, জম্মের কয়েক মাস পর তাঁর ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাঁর ছেলেকে ২০২৪ সালের শেষ দিকে রংপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর ছেলের হার্টে একটি ছিদ্র ধরা পড়ে। রংপুরের চিকিৎসক আনাসের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আল হাবিব খুবই গরিব মানুষ। ছেলের চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য তাদের নেই। তাহলে আসুন আমরা সকলে মিলে শিশু আনাসের বেদনা ভাগ করে নেই। সমাজের দানশীল ও বিত্তবান ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে শিশুটির চিকিৎসা হবে। অন্যসব শিশুদের মত আনাসও একদিন স্বাভাবিক সমাজে চলাফেরা করতে সক্ষম হবে।
আনাসের বাবা আল হাবিব বলেন, আমার সামান্য বসতবাড়ি ছাড়া কিছুই নেই। আমি ৪০০/৫০০ টাকা দিনমজুরিতে কাজ করি, এতে কষ্ট করে সংসার চালাই। ছেলের অপারেশন (অস্ত্রোপচার) করাতে চার-পাঁচ লাখ টাকা দরকার। এ টাকা আমার পক্ষে কোনো ভাবেই জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই ছেলের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তশালী মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক বলেন, চিকিৎসার জন্য অনলাইনে আবেদন করলে যাচাই বাচাই করে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তায় প্রদান করা হবে।

এস.বি-সুজন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি : 
























