, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা কালীগঞ্জে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

বগুড়ায় বার্মিজ চাকুর আঘাতে স্ত্রী রেশমি গুরুতর আহত, স্বামী সাঞ্জিদ গ্রেপ্তার

‎এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়া শহরের ২নং ওয়ার্ডের বৃন্দাবন দক্ষিণপাড়ায় ঘটে গেছে এক মর্মান্তিক পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা। পিতা মোঃ জুয়েল শেখ সদর থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, তার মেয়ে রেশমি খাতুন বিবাহের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী মোহাম্মদ সাঞ্জিদ ইসলাম সিফাতের দ্বারা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন।

গত শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে রেশমির মা জামাইবাড়িতে গিয়ে দেখেন, রেশমি গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় শয়নকক্ষে বন্দি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

রেশমির শরীরের বিভিন্ন স্থানে-বিশেষ করে উরুতে-প্রায় ৩০টি বার্মিজ চাকুর খোঁচানোর চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ঘটনার পরপরই সদর থানা পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী সাঞ্জিদকে গ্রেফতার করেছে।

‎‌

প্রশ্নের মুখে একটি অজুহাত: ফেসবুক চালানো নিয়ে দ্বন্দ্ব?
‎ঘটনার পর কিছু অনলাইন বা সামাজিক মাধ্যমে দাবি উঠেছে-রেশমির ফেসবুক ব্যবহারের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দিত, আর সেই দ্বন্দ্ব থেকেই নাকি এই সহিংসতার জন্ম।

‎তবে প্রশ্ন থেকে যায়-ফেসবুক চালানো কি কোনোভাবেই এমন নির্মম নির্যাতনের যৌক্তিক কারণ হতে পারে? না কি এটি মূল অভিযোগ-যৌতুকের দাবিকে আড়াল করার কৌশল?

‎‌নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান জরুরি

এই ঘটনায় আবারো স্পষ্ট হয়েছে, যৌতুকপ্রথা এখনো সমাজে কতটা নির্মম রূপে বিরাজ করছে। একজন নারী তার নিজের ঘরে, স্বামীর হাতে এভাবে নির্যাতিত হবেন -এটি কোনোভাবেই সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়।

আইনের চোখে এই ঘটনা শুধু একটি পারিবারিক কলহ নয়, এটি একটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। পুলিশ ইতোমধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করেছে, তবে প্রকৃত বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলতে থাকবে-সেই আশাই করে সমাজ।

জনপ্রিয়

পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বগুড়ায় বার্মিজ চাকুর আঘাতে স্ত্রী রেশমি গুরুতর আহত, স্বামী সাঞ্জিদ গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ০১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫

‎এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়া শহরের ২নং ওয়ার্ডের বৃন্দাবন দক্ষিণপাড়ায় ঘটে গেছে এক মর্মান্তিক পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা। পিতা মোঃ জুয়েল শেখ সদর থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, তার মেয়ে রেশমি খাতুন বিবাহের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী মোহাম্মদ সাঞ্জিদ ইসলাম সিফাতের দ্বারা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন।

গত শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে রেশমির মা জামাইবাড়িতে গিয়ে দেখেন, রেশমি গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় শয়নকক্ষে বন্দি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

রেশমির শরীরের বিভিন্ন স্থানে-বিশেষ করে উরুতে-প্রায় ৩০টি বার্মিজ চাকুর খোঁচানোর চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ঘটনার পরপরই সদর থানা পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী সাঞ্জিদকে গ্রেফতার করেছে।

‎‌

প্রশ্নের মুখে একটি অজুহাত: ফেসবুক চালানো নিয়ে দ্বন্দ্ব?
‎ঘটনার পর কিছু অনলাইন বা সামাজিক মাধ্যমে দাবি উঠেছে-রেশমির ফেসবুক ব্যবহারের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দিত, আর সেই দ্বন্দ্ব থেকেই নাকি এই সহিংসতার জন্ম।

‎তবে প্রশ্ন থেকে যায়-ফেসবুক চালানো কি কোনোভাবেই এমন নির্মম নির্যাতনের যৌক্তিক কারণ হতে পারে? না কি এটি মূল অভিযোগ-যৌতুকের দাবিকে আড়াল করার কৌশল?

‎‌নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান জরুরি

এই ঘটনায় আবারো স্পষ্ট হয়েছে, যৌতুকপ্রথা এখনো সমাজে কতটা নির্মম রূপে বিরাজ করছে। একজন নারী তার নিজের ঘরে, স্বামীর হাতে এভাবে নির্যাতিত হবেন -এটি কোনোভাবেই সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়।

আইনের চোখে এই ঘটনা শুধু একটি পারিবারিক কলহ নয়, এটি একটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। পুলিশ ইতোমধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করেছে, তবে প্রকৃত বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলতে থাকবে-সেই আশাই করে সমাজ।