, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিখোঁজ জুলাই যোদ্ধা তামিমের বাবা, ‎ বাবাকে ফিরে পেতে সন্তানের আকুতি ‎মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাব নির্বাচনে সকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেহেরপুরে ৩ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা জয়পুরহাটের কালাই ডিগ্রি কলেজে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত; নরসিংদীর শিবপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। কালীগঞ্জে ব্র্যাকের উদ্যোগে ‘খেলার জগৎ আনন্দ আয়োজন–২০২৫’ অনুষ্ঠিত নরসিংদীর শিবপুরে ১২টি গরুসহ তিন ডাকাত গ্রেপ্তার শ্রীপুরে মানবাধিকার কর্মীর পরিচয়ে ফার্মেসিতে অভিযান ও চাঁদাবাজি,চক্রের ৫ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা নবীনগরে গোলাগুলিতে যুবক গুরুতর আহত, পুলিশের তদন্ত অব্যাহত লালমনিরহাটের সাফল্যে গাঁথা শিবরাম স্কুল, সুনাম অর্জনে প্রথম

ডিমলায় আল আমিন ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আরো আটক- ১, মোট গ্রেফতার-৫

  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৩৬৯ পড়া হয়েছে

মোঃ নয়ন ইসলাম ডিমলা নীলফামারী প্রতিনিধি :নীলফামারীর ডিমলায় আল আমিন ইসলামকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আরও এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। নতুন আটক হলেন ডিমলা উপজেলার বাবুর হাট এলাকার মোঃ আলাল ইসলাম। সে পলাতক মূল হামলাকারী নাসিম হোসেনের মামা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও সে উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত সদস্য বলে জানা যায়।

এর আগে খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম সেলিম এবং ডিমলা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা রাব্বি হাসান, বাবুরহাট এলাকার রুয়েল ও রানা’কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর রাব্বি হাসানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নীলফামারীর বিচারক দেলোয়ার হোসেন এ আদেশ দেন।

জানা যায়, ২৭ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ডিমলা জেলা পরিষদ স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে আল আমিন ইসলাম (১৬) ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। ব্রেঞ্চ নিয়ে দ্বন্দকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন আইসিইউতে থাকার পর বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। আহতের পরিবার বলছে, আল আমিনকে পরিকল্পিতভাবে হামলার ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় সন্ত্রাসী নাসিম ও তার সহযোগীরা জড়িত।

ঘটনার পর আল আমিনের পরিবার বাদী হয়ে ডিমলা থানায় মামলা করেন। মামলায় নামীয় ও অজ্ঞাত মিলিয়ে মোট ৪/৫জনকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে, পলাতক রয়েছেন মূল অভিযুক্ত নাসিম।

ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার বলেন, “পুরো হামলার নেপথ্যে কারা ছিল, কারা পরিকল্পনা করেছে এবং পলাতক নাসিম কোথায় লুকিয়ে আছে, এসব জানতে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ গুরুত্বপূর্ণ। রিমান্ডে নতুন কিছু তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “নাসিমকে গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। তাকে এলাকায় আড়াল করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়েও তদন্ত চলছে।”

জনপ্রিয়

নিখোঁজ জুলাই যোদ্ধা তামিমের বাবা, ‎ বাবাকে ফিরে পেতে সন্তানের আকুতি

ডিমলায় আল আমিন ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আরো আটক- ১, মোট গ্রেফতার-৫

প্রকাশের সময় : ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

মোঃ নয়ন ইসলাম ডিমলা নীলফামারী প্রতিনিধি :নীলফামারীর ডিমলায় আল আমিন ইসলামকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আরও এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। নতুন আটক হলেন ডিমলা উপজেলার বাবুর হাট এলাকার মোঃ আলাল ইসলাম। সে পলাতক মূল হামলাকারী নাসিম হোসেনের মামা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও সে উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত সদস্য বলে জানা যায়।

এর আগে খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম সেলিম এবং ডিমলা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা রাব্বি হাসান, বাবুরহাট এলাকার রুয়েল ও রানা’কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর রাব্বি হাসানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নীলফামারীর বিচারক দেলোয়ার হোসেন এ আদেশ দেন।

জানা যায়, ২৭ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ডিমলা জেলা পরিষদ স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে আল আমিন ইসলাম (১৬) ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। ব্রেঞ্চ নিয়ে দ্বন্দকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন আইসিইউতে থাকার পর বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। আহতের পরিবার বলছে, আল আমিনকে পরিকল্পিতভাবে হামলার ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় সন্ত্রাসী নাসিম ও তার সহযোগীরা জড়িত।

ঘটনার পর আল আমিনের পরিবার বাদী হয়ে ডিমলা থানায় মামলা করেন। মামলায় নামীয় ও অজ্ঞাত মিলিয়ে মোট ৪/৫জনকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে, পলাতক রয়েছেন মূল অভিযুক্ত নাসিম।

ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার বলেন, “পুরো হামলার নেপথ্যে কারা ছিল, কারা পরিকল্পনা করেছে এবং পলাতক নাসিম কোথায় লুকিয়ে আছে, এসব জানতে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ গুরুত্বপূর্ণ। রিমান্ডে নতুন কিছু তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “নাসিমকে গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। তাকে এলাকায় আড়াল করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়েও তদন্ত চলছে।”